বানিয়াচঙ্গের ইকরামে স্বামীর অধিকার নিয়ে দুই সতীনের ঝগড়া

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বানিয়াচঙ্গে স্বামীর অধিকার নিয়ে এক সতীনের কামড়ে আরেক সতীনের গাল কেটে গেছে। ঘটনাটি এলাকায় রসালো আলোচনার জন্ম দিয়েছে। শনিবার দুপুরে বানিয়াচঙ্গ উপজেলার পূর্ব ইকরাম গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় লাস্কু বেগমকে (৩০) হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, ওই গ্রামের মস্তু মিয়ার পুত্র শাহ আলম বিয়ে করেন একই গ্রামের খেলু মিয়ার কন্যা লাস্কু বেগমকে। বিয়ের পর লাস্কু বেগম সৌদি আরব চলে গেলে এই ফাঁকে শাহ আলম একই এলাকার সুহেনা নামে এক যুবতির সাথে পরকিয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে তার ১ম স্ত্রীর অনুমতি না নিয়ে সুহেনাকে বিয়ে করে ঘর সংসার শুরু করে। এ খবর পেয়ে লাস্কু বেগম তার গ্রামের বাড়িতে চলে আসে। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়ার সৃষ্টি হলে স্থানীয়ভাবে সালিশ বিচারকগণ স্বামীর উপর উভয়ের সমান অধিকার বলে রায় প্রদান করেন। কিন্তু এ রায় মানতে নারাজ ১ম স্ত্রী লাস্কু বেগম। এ নিয়ে প্রায়ই তাদের মধ্যে বিবাদ দেখা দিত। গতকাল দুপুরে স্বামীর অধিকার নিয়ে দুই সতীনের মাঝে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষে রূপ নেয়। স্ত্রীদের উপর অতিষ্ঠ হয়ে শাহ আলম উভয়কে শাসন করেন। কিন্তু সুহেনা ক্ষিপ্ত হয়ে সতীন লাস্কু বেগমের গালে কামড় দিয়ে ধরে রাখে। এবং গালের ডান দিকের টুকরা নিয়ে যায়। পরে শাহ আলম ঝাড়– দিয়ে আঘাত করে লাস্কু বেগমকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করান।
এ ব্যাপারে সতীনদ্বয়ের স্বামী শাহ আলমের সাথে এ প্রতিবেদকের আলাপ হলে তিনি বলেন, ‘আমি শ্যাম রাখি না, কুল রাখি? এরা আমার অবাধ্য, মান-ইজ্জত সব গেছে, আমি হাজী বাড়ির ছেলে। আমি উন্কা মরমু আর এরা দুইয়টারে ফাঁসাইমু’।
এ ব্যাপারে বানিয়াচঙ্গ থানার ওসি রাশেদ মোবারক জানান, বিষয়টি শুনেছি, তবে এখনও কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।