এসএম সুরুজ আলী ॥ বানিয়াচং-হবিগঞ্জ সড়ক সংলগ্ন কালারডোবার অদূরে আতুকুড়া হাওরে হবিগঞ্জ পৌরসভার ময়লা আবর্জনা ফেলার ডাম্পিং স্পট নির্মাণে হবিগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ খানের সহযোগিতা চেয়েছেন হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মিজানুর রহমান মিজান। তিনি বুধবার সকাল ১১টায় হবিগঞ্জ পৌরসভা কার্যালয়ে এমপি মজিদ খানের সাথে মতবিনিময় সভায় এ সহযোগিতা কামনা করেন। সভায় পৌর মেয়র মিজানুর রহমান মিজান এমপি আব্দুল মজিদ খানকে বলেন, আপনি হবিগঞ্জ পৌরসভার বাসিন্দা। হবিগঞ্জ পৌরসভায় আপনার নির্বাচনী এলাকা বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জের ৫/৭ হাজার ভোটার রয়েছে। হবিগঞ্জ পৌরসভার নাগরিকদের বসবাসের জন্য পরিকল্পিত ও সুন্দর পৌরসভা গড়ার জন্য হবিগঞ্জ পৌরসভা আপনার সহযোগিতা কামনা করে। আমরা আগামী নতুন প্রজন্মের জন্য বসবাস উপযোগি পৌরসভা গড়ে তুলতে চাই। হবিগঞ্জ পৌরসভার বাসিন্দাদের বাসার ময়লা-আবর্জনা ফেরার নির্দিষ্ট কোন জায়গা নেই। আর ডাম্পিং স্পট করতে গেলে ৩ একর জায়গা প্রয়োজন। আতুকুড়ার লিজকৃত জায়গাটি ৩ একর। এতো জায়গা পৌরসভার ভিতরে নেই। তিনি বলেন, আতুকুড়ায় পৌরসভার নির্ধারিত ডাম্পিং স্পটের পাশে স্কুল থাকায় শিক্ষার্থীদের অসুবিধা হলে আরেকটি স্থান কালারডোবা এলাকায় রয়েছে, সেই স্থানটি ডাম্পিং স্পট করার জন্য পৌর মেয়র এমপি’র সাথে পরামর্শ করেন। পৌর মেয়র বলেন, বাউন্ডারী দেয়াল দিয়ে রিসাইক্লিং সিস্টেমসহ ডাম্পিং স্টেশন করা হবে। এ ময়লা থেকে জৈব সার তৈরি করা হবে। সরকার থেকে এ প্রকল্পের আর ১ বছর সময় নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে না পারলে হবিগঞ্জে আর ডাম্পিং স্পট করা সম্ভব হবে না। তিনি ডাম্পিং স্পট নির্মাণের জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
বুধবার রাতে এ ব্যাপারে পৌর মেয়রের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি দৈনিক হবিগঞ্জের মুখকে জানান, সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ খান পৌরসভার ডাম্পিং স্পট নির্মাণের জন্য সহযোগিতার আশ^াস দিয়েছেন। তিনি বলেছেন এ বিষয় নিয়ে এলাকাবাসীর সাথে কথা বলবেন।
সূত্র জানায়, প্রায় ৭ বছর পূর্বে হবিগঞ্জ পৌরসভার তৎকালীন মেয়র জি কে গউছ ডাম্পিং স্পট করার জন্য আতুকুড়া হাওরের ওই জায়গাটি জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে লিজ নেন। পরবর্তীতে পৌরসভা ওই জায়গায় ডাম্পিং স্পট করতে গেলে আতুকুড়াসহ আশপাশের গ্রামবাসী বাঁধা প্রদান করেন। এ ঘটনায় পৌরসভার নিয়োগকৃত ঠিকাদার আতুকুড়া গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলাটিকে মিথ্যা আখ্যায়িত করে এ ঘটনায় এখনো আতুকুড়া গ্রামবাসী বিক্ষুব্ধ। পৌরসভার ওই জায়গা দখলে যাওয়ার চেষ্টা করলে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশংকা রয়েছে। গত ২৩ জুলাই বানিয়াচং উপজেলার আইন-শৃঙ্খলা সভায় উল্লেখিত স্থানে পৌরসভার ডাম্পিং স্পট করা উচিত হবে না বলে অধিকাংশ সদস্য মতামত ব্যক্ত করেন। এছাড়া সর্বসম্মতিক্রমে আতুকুড়ায় পৌরসভার ডাম্পিং স্পট না করার সিদ্ধান্ত জানানো হয়। এ পরিস্থিতিতে হবিগঞ্জ পৌরসভার বর্তমান মেয়র বিকল্প স্থানে ডাম্পিং স্পট নির্মাণের পরিকল্পনা করেন।