স্টাফ রিপোর্টার ॥ বানিয়াচঙ্গের যাত্রাপাশা থেকে চুরি হওয়া গরুর মালিকানা নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা সালিশ বৈঠকে নিষ্পত্তি হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে কেশবপুর গরুর বাজারে অনুষ্ঠিত এক সালিশ বৈঠকে বিষয়টি নিষ্পত্তি হয়। শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার ব্রাহ্মণডুরা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড মেম্বার ও কেশবপুর বাজার কমিটির সভাপতি কামাল হাজারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সালিশ বৈঠকে বানিয়াচং ৪নং ইউপি চেয়ারম্যান রেখাছ মিয়া, ব্রাহ্মণডুরা ইউপি চেয়ারম্যান হুসাইন মোহাম্মদ আদিল জজ মিয়াসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও ইউপি সদস্য উপস্থিত ছিলেন। এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে সালিশ বৈঠকের সভাপতি কামাল হাজারী জানান, সালিশে প্রমাণিত হয়েছে আটক গরুর প্রকৃত মালিক রাজিউড়া ইউনিয়নের আমিনপুর গ্রামের ব্যাপারী শাস্তু মিয়া। তিনি সালিশ বৈঠকে গাভী হাজির করলে বাজার কমিটির জিম্মায় থাকা বাছুরটি ছাড়া হয়। এ সময় বাছুরটি ওই গাভির দুধ পান করার চেষ্টা চালায়। এতে প্রমাণিত হয় বাছুরটি ওই গাভির। তাই বাছুরটির প্রকৃত মালিক শাস্তু মিয়া, তোফাজ্জল মিয়া নয়। সালিশের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিচার কার্যক্রম শুরু করার পূর্বে উভয়ের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা করে জামানত রাখা হয়। আটক বাছুরের মালিকানা নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা নিরসনের পর নিয়ম অনুযায়ী তোফাজ্জল মিয়ার জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়ার কথা থাকলেও তারা যেহেতু আমাদের মেহমান এবং সাথে জনপ্রতিনিধিও নিয়ে এসেছেন তাই তাদের সম্মান জানিয়ে জামানতের টাকা ফেরত দেয়া হয়েছে।
কামাল হাজারী আরো জানান, তোফাজ্জল মিয়াকে একজন ভাল মানুষ এবং সহজ সরল বলে মনে হয়েছে। তিনি তার হারিয়ে যাওয়া বাছুরের মতো দেখতে পেয়ে কেশবপুর বাজারে এসে শাস্তু মিয়ার বাছুরটি নিজের বলে দাবি করেছেন।
প্রসঙ্গত, রবিবার দিবাগত রাতে বানিয়াচং উপজেলার যাত্রাপাশা মহল্লার তোফাজ্জল মিয়ার গোয়াল ঘরের তালা ভেঙ্গে একটি গাভি ও বাছুর (ষাড়) চুরি করে নিয়ে যায় চোরেরা। তোফাজ্জল মিয়া গরুর খোঁজে কেশবপুর বাজারে গিয়ে ব্যাপারী শাস্তু মিয়ার কাছে তার হারিয়ে যাওয়া বাছুরের মতো একটি বাছুর দেখতে পেয়ে তা নিজের বলে দাবি করেন। এ নিয়ে তোফাজ্জল মিয়া ও শাস্তু মিয়ার মাঝে দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। বাছুরের মালিকানা নিয়ে তাদের দ্বন্দ্ব নিরসনে সালিশের উদ্যোগ নেন বাজার কমিটির নেতৃবৃন্দ। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মঙ্গলবার দুপুরে কেশবপুর বাজারে সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।