খান জান্নাত-ই-যারীন হবিগঞ্জ বৃন্দাবন সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করা এক কৃতি সঙ্গীত শিল্পী। যারীন শহরের দিগন্ত পাড়ার বাসিন্দা স্বনামধন্য সঙ্গীত প্রশিক্ষক মোঃ আবু মোতালেব খানের মেয়ে। তার মা শামীমা ফেরদৌসি খানমও ছিলেন একজন সংস্কৃতি প্রেমি। সে হিসেবে বলতে গেলে যারীনের জন্মটাই সাংস্কৃতিক পরিবারে। জন্মের পর বেড়ে উঠাও সাংস্কৃতিক অঙ্গনেই। তার রক্তে মিশে আছে সংস্কৃতি, তাইতো বেড়ে উঠার পরই এ পথে শুরু হয় তার পথচলা। তার সে পথচলা ছিল কুসুমাস্তীর্ণ। শহরের স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বাড্স কেজি এন্ড হাইস্কুলে ৪র্থ শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপাড়ার পর ভর্তি হন বিকেজিসি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে। সেখান থেকে এসএসসি ও সরকারি বৃন্দাবন কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন। তিনি স্বপ্ন দেখছেন সঙ্গীতের উপর উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করার। পাশাপাশি একজন স্বনামধন্য ফ্যাশন ডিজাইনার হওয়ার। উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত, রবীন্দ্র সঙ্গীত, হামদ্ নাত, আবৃত্তি, চিত্রাংকনসহ সকল বিভাগেই রয়েছে তার পারদর্শিতা। তিনি তৃতীয় শ্রেণিতে লেখাপড়ার সময় থেকেই বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে সাফল্যের স্বাক্ষর রাখেন। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো হামদ্ নাত-এ বিভাগীয় পর্যায়ে অংশ নিয়ে ৪ বার ১ম স্থান অর্জন, রবীন্দ্র সঙ্গীতে জাতীয় পর্যায়ে ৩য়, জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ২০১৬, ২০১৭ ও ২০১৮ সালে রবীন্দ্র সঙ্গীত, নজরুল গীতি, হামদ্ নাত এ বিভাগীয় পর্যায়ে ১ম স্থান অর্জন করেন। এ ছাড়াও ৩য় শ্রেণি থেকে রবীন্দ্র সঙ্গীত, নজরুল গীতি, হামদ্ নাত, দেশাত্ববোধক গান, কবিতা আবৃত্তি ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে জেলা পর্যায়ে প্রথম স্থান অর্জন করেন খান জান্নাত-ই-যারীন। তার অবসর সময় কাটে চিত্রাংকন ও গানের বই পড়ে। তার প্রিয় ব্যক্তিত্ব সুর স¤্রাট ওস্তাদ মোহাম্মদ ইয়াসিন খান ও পঞ্চ কবি ঋদি বঙ্গোপাধ্যায়। তার প্রিয় খাবার বিরিয়ানী, চিকেন ও চা, প্রিয় ফল ডালিম, প্রিয় ফুল বেলী, প্রিয় রং টিয়ে, প্রিয় পোশাক শাড়ি। যারীন জানান, সম্প্রতি তিনি সিলেট বেতারে রবীন্দ্র সঙ্গীতের তালিকাভূক্ত শিল্পী হয়েছেন। তিনিই একমাত্র মুসলিম শিল্পী হিসেবে এ কৃতিত্ব অর্জন করেছেন। সঙ্গীতের উপর লেখাপড়া ও ফ্যাশন ডিজাইনার হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যেহেতু সংস্কৃতি পরিবারে তার জন্ম এবং জন্মের পর থেকেই সংস্কৃতির সাথে তার বসবাস, তাই স্বপ্ন দেখেন একজন বড় মাপের সঙ্গীত শিল্পী হতে। সঙ্গীতের উপর উচ্চতর লেখাপড়া করতে। এছাড়া ছোট্ট বেলা স্কুলে লেখাপড়া করার সময় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে শিশুদের ড্রেসআপ দেখে তিনি উদ্বুদ্ধ হতেন। স্বপ্ন দেখতেন একদিন তিনি ফ্যাশন ডিজাইনার হবেন। তার এ স্বপ্ন পূরণ হোক দৈনিক হবিগঞ্জের মুখ পরিবারের পক্ষ থেকে এ প্রত্যাশা রইল।