স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ শহরে প্রেমিকার বাসায় আমোদফূর্তি করতে গিয়ে আটক প্রেমিকের জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। এদিকে, বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে প্রেমিক যুগলের আরও অজানা কাহিনী। অনেক পাঠক পত্রিকা অফিসে এবং সাংবাদিকদেরকে মোবাইল ফোনে জানিয়েছেন নানান তথ্য। পইল ক্লিনিকের স্বাস্থ্য সহকারী নুরজাহান বেগমের ও মাধবপুর উপজেলার বহরা গ্রামের মোঃ নুর উদ্দিনের পুত্র মৌলভীবাজার ম্যাটস কলেজের ছাত্র শাহারিয়ার চৌধুরী নাদিমের (২৫) জন্য মঙ্গলবার হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জামিন আবেদন করলে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করেন।
সূত্র জানায়, শায়েস্তানগর ব্র্যাক অফিস এলাকার বাসিন্দা আব্দুল জলিলের কন্যা তাসলিমা আক্তার মনি’র (২৪) বিয়ে হয় উমেদনগরের মিনহাজ আহমেদ নামে এক যুবকের সাথে। এদিকে জীবিকার তাগিদে মিনহাজ প্রবাসে চলে গেলে মনির সাথে নাদিমের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এরপর তারা দুজন হোটেল, রিসোর্টসহ বিভিন্ন স্থানে গিয়ে দৈহিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়। নাদিম মনিকে একান্তভাবে কাছে পেতে কৌশলে মনি’র স্বামীকে ডিভোর্স দেওয়ায়। এরপর নির্বিঘেœ চলে তাদের প্রেম। সম্প্রতি নাদিমের অন্যত্র বিয়ের আলোচনা চললে বিষটি মনি আঁচ করতে পেরে নাদিমকে বিয়ের জন্য চাপ দেয়। গত শনিবার রাতে নাদিম মনির বাসায় যায়। নাদিম সেখানে খাওয়া-দাওয়া শেষে রাতে একটি রুমে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হলে স্থানীয়রা তাদের হাতে-নাতে আটক করে হবিগঞ্জ সদর থানা পুলিশে সোপর্দ করে। থানায় বিষয়টি সমাধান না হওয়ায় মনি বাদী হয়ে নাদিমের উপর ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করে। প্রেমিক যুগলকে আদালতে সোপর্দ করলে সেখানেও সমাধান না হওয়ায় মনি তার নিজ জিম্মায় জামিনে মুক্তি পায় এবং নাদিমকে কারাগারে প্রেরণ করেন আদালত।