ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনা দেড় লাখ টাকায় রফাদফা

জামাল মোঃ আবু নাছের ॥ হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার ছাতিয়াইন ইউনিয়নের শিমুলঘর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে এক বখাটে যুবক। এ ঘটনার পর থেকে ওই শিক্ষার্থী গত এক সপ্তাহ ধরে স্কুলে যাচ্ছে না। এতে ওই শিক্ষার্থী প্রাথমিক শিক্ষা থেকে ঝড়ে পড়ার আশংকা করছেন এলাকাবাসী।
এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীর পরিবার সূত্রে জানা যায় গত ২ জুলাই বিকালে ওই শিক্ষার্থী বাড়ির পাশে একটি পতিত জমিতে শাক তুলতে গেলে একই এলাকার শেখ মাসুক মিয়ার ছেলে কালন মিয়া ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় তার চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে কালন মিয়া পালিয়ে যায়। পরে তার পরিবারের সদস্যরা শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকের পরামর্শে তাকে হবিগঞ্জ আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সরজমিনে বুধবার বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায় ওই শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে এক সপ্তাহ ধরে অনুপস্থিত।
অনুপস্থিতের বিষয়ে জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রনধীর রায় বলেন কি কারণে সে বিদ্যালয়ে আসেনি তা খোঁজখবর নিয়ে বলতে হবে। ধর্ষণের চেষ্টা প্রসঙ্গে তিনি বলেন আমাকে কেউ এখন পর্যন্ত জানায়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার বেশ কয়েকজন ব্যক্তি জানান বিষয়টি স্থানীয় মাতব্বরা দেড় লক্ষ টাকায় আপোষে মিমাংশা করেছেন। কিন্তু মেয়েটি এখনো স্কুলে যাচ্ছে না। এভাবে স্কুলে না যেতে যেতে সে প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকেই ঝরে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে এ ব্যপারে শিক্ষার্থীর বাবা বলেন শুনেছি তারা বৈঠকে বসেছিল। কিন্তু আমাকে কেউ বৈঠকে যাওয়ার কথা বলেনি। এবং কোন টাকা পয়সাও দেওয়া হয়নি। মেয়েটি এখন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। সুস্থ হলে স্বুলে যাবে।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে শিমুলঘর গ্রামের ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান বলেন উভয়ের সম্মতিতে আপোষ করা হয়েছে। কালনের পরিবার ৫০ হাজার টাকা একজন মাতব্বরের কাছে জমা রেখেছেন।