স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ শেখ মোঃ তরিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের আভিযোগ উঠেছে। নিয়মতান্ত্রিকভাবে এক ঠিকাদার সেখানে কাজ করার পরও তাকে বিল না দিয়ে দুর্ব্যবহার করেন তিনি। ছাত্রদের মারপিট এবং শিক্ষক-কর্মচারীদের সাথেও বাজে আচরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, অধ্যক্ষ শেখ মোঃ তরিকুল ইসলাম তাঁর সহকর্মীদেরকে যাচ্ছে-তাই গালিগালাজ, তুই-তোকারি থেকে শুরু করে প্রায়ই অসদাচরণ করেন। এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস পাচ্ছেন না শিক্ষক-কর্মচারীরা। প্রতিষ্ঠানের মেরামত কাজ পাহারা দেয়ার জন্য শিক্ষকদের বাধ্য করেন তিনি। পালাক্রমে শিক্ষকরা রাতব্যাপী পাহারাদারের দায়িত্ব পালন করতে বাধ্য হয়।
সম্প্রতি অনলাইন টেন্ডারের মাধ্যমে ওই প্রতিষ্ঠানে মালামাল সরবরাহের কাজ পান হবিগঞ্জ সদর উপজেলার শামীম মিয়া নামে এক ঠিকাদার। কাজ শেষে বিলের জন্য অধ্যক্ষের কাছে গেলে তিনি ঠিকাদারকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং বিল দিবেন না বলে ফিরিয়ে দেন। পরে ওই ঠিকাদার প্রতিকার চেয়ে গত ৭ জুলাই জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেন।
ঠিকাদার মোঃ শামীম মিয়া জানান, ওই অধ্যক্ষ শুধু তার সাথেই বাজে আচরণ করেননি। তিনি সকল শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের সাথেও বাজে আচরণ করেন। তার বিরুদ্ধে আরও অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। এ ব্যাপারে দুদক সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে তার বিরুদ্ধে আমি আবেদন করেছি।
অভিযোগ প্রাপ্তির কথা নিশ্চিত করে হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক মাহমুদুল কবীর মুরাদ বলেন, বিষয়টি তদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অধ্যক্ষ তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দেয়া হচ্ছে। উক্ত ঠিকাদার অনলাইনে ইজিপির মাধ্যমে কাজ করেছে। তার জামানতের টাকা এক বছর পর দেয়ার নিয়ম থাকলেও সে এসে ওই টাকা নগদ দাবি করে এবং আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করে।
ঠিকাদারের বিরুদ্ধে অধ্যক্ষ তরিকুল ইসলামের পাল্টা অভিযোগ
© স্বত্ব দৈনিক হবিগঞ্জের মুখ ২০১৯
ওয়েবসাইটটি তৈরী করেছে ThemesBazar.Com