ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে বৃন্দাবন সরকারি কলেজ ব্যবস্থাপনা বিভাগ এলামনাই এসোসিয়েশনের মিলনমেলা গতকাল নরসিংদীর ড্রিমল্যান্ড হলিডে পার্কে অনুষ্ঠিত হয়। সকাল সাড়ে ৮টায় কলেজের সামন থেকে বাসযোগে পিকনিকে অংশগ্রহণকারীদের নিয়ে যাত্রা শুরু হয়। এতে অভিভাবকের দায়িত্ব পালন করেন বৃন্দাবন সরকারি কলেজ ব্যবস্থাপনা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ইলিয়াছ বখ্ত চৌধুরী জালাল। যাত্রাপথে শায়েস্তাগঞ্জের জিএস ফিলিং স্টেশনে বাস থামিয়ে সকালের নাস্তাপর্ব শেষ করা হয়। নাস্তা ছিল ভূনা খিচুড়ি। সবাই খিচুড়ি খেয়ে প্রশংসা করেন। নির্ধারিত গন্তব্যে পৌঁছার পর চলতে থাকে ঘোরাঘুরি ও ফটোসেশন। নামাজ শেষে ভূরিভোজ পর্ব শেষে আবারও ফটোসেশন, ঘোরাঘুরি এবং বিভিন্ন রাইড উপভোগ করা হয়। যাত্রাপথে চলে লটারীর টিকিট বিক্রি এবং মনের মাধুরী মিশিয়ে গলা ছেড়ে প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্রছাত্রীদের গান। তাদেরকে সঙ্গ দেন ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রভাষক মোঃ জামাল হোসেন। অনেক দিন পর একে অন্যকে কাছে পেয়ে আপ্লুত হয়ে পড়েন। সন্ধ্যায় ঘরে ফেরার পালা। এ সময় শিক্ষকতা পেশায় ২৬ বছর পূর্তি উপলক্ষে ব্যবস্থাপনা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ইলিয়াছ বখ্ত চৌধুরী জালালকে এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। এ ছাড়াও ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রথম ব্যাচের ছাত্র মিলনমেলা উদযাপন কমিটির ব্যবস্থাপনার দায়িত্বপালনকারী মোঃ মাসুক চৌধুরী, মিলনমেলা উদযাপন কমিটির আহবায়ক সৈয়দ নজরুল হাসান, সহকারি ব্যবস্থাপক প্রভাষক মোঃ জামাল হোসেন, সাংগঠনিক কাজের জন্য দিবাকর পাল, সমন্বয়কারি ও উদ্যোক্তা শাহ্ রাজীব আহমেদ রিংগনকে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। পথে ইলিয়াছ বখ্ত চৌধুরী জালাল সবাইকে কমলা এবং নরসিংদী কলেজের সহকারি অধ্যাপক মোঃ মনির হোসেন সবাইকে নরসিংদীর সুস্বাদু কলা দিয়ে আপ্যায়িত করেন। রাস্তায় চলতে থাকে র্যাফেল ড্র ও পুরস্কার বিতরণী। অনুষ্ঠানটি অত্যন্ত সুন্দরভাবে পরিচালনা করেন ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রভাষক মোঃ জামাল হোসেন। তাকে সার্বিক সহযোগিতা করেন সৈয়দ নজরুল হাসান। অনুষ্ঠানে নাম্বার অস্পষ্ট থাকার অজুহাতে ২য় পুরস্কার বাতিল ঘোষণা করা হলে তার তীব্র প্রতিবাদ করে ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রথম ব্যাচের ছাত্র মিজানুর রহমান। পরে আবারো লটারী অনুষ্ঠিত হয়। এতে মিজানুর রহমান ২য় পুরস্কার লাভ করে। তবে শাহ্ রাজীব আহমেদ রিংগন কোন পুরস্কার না পাওয়ায় লটারী প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতার প্রতি আঙ্গুল তুলেন। আর এ সবই ছিল নিজেদের মধ্যে আনন্দ ভাগাভাগি করে নেয়ার উদ্দেশ্য। যদিও বিচারকরা তাকে শান্তনা পুরস্কার হিসেবে কমলা উপহার দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা আর হয়ে উঠেনি। নিজ নিজ গন্তব্যে আসার পর প্রত্যেকেই প্রত্যেকের কাছ থেকে ভারাক্রান্ত মনে বিদায় নেন। সাথে নিয়ে যান পুরনো বন্ধুদের কাছ থেকে পাওয়া একবুক ভালবাসা ও আনন্দ। অনুষ্ঠানে ঘোষণা দেয়া হয় মিলনমেলা আয়োজনের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে। এছাড়াও চলতি শীত মৌসুমে এলামনাই এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে শীতবস্ত্র বিতরণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
© স্বত্ব দৈনিক হবিগঞ্জের মুখ ২০১৯
ওয়েবসাইটটি তৈরী করেছে ThemesBazar.Com