স্টাফ রিপোর্টার ॥ এক প্রবাসীর নির্দেশে ৫ লাখ টাকা চুক্তিতে নবীগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির সাবেক সহ-সভাপতি, শেরপুর বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হাজী ইউসুফ চৌধুরীকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এমন তথ্য দিয়েছে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া আসামী সাইফুর রহমান (২৫)। শনিবার দুপুরে হবিগঞ্জ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে (৫) সাইফুর ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়।
এর আগে গত শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে নবীগঞ্জ উপজেলার শেরপুর এলাকার বনগাঁও গ্রাম থেকে নবীগঞ্জ থানার একদল পুলিশ ইউসুফ চৌধুরীর উপর হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার প্রায় তিন মাস পর সন্দেহভাজন হিসেবে সাইফুর মিয়াকে (২৫) আটক করে। সাইফুর ওসমানীনগর উপজেলার পৈলনপুর ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামের আশিক মিয়ার পুত্র।
নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকবাল হোসেন জানান, ইউসুফ চৌধুরীর উপর হামলার ঘটনায় সাইফুর রহমান ঘটনার সাথে জড়িত ছিল বলে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। স্বীকারোক্তিতে সাইফুর জানায়, হামলার প্রায় ৮/৯ দিন পূর্বে এক প্রবাসীর নির্দেশে ৫ লাখ টাকার চুক্তিতে সাইফুরের বাসায় বসে ৬ জন মিলে ইউসুফ চৌধুরীকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। সাইফুরের দেয়া তথ্য অনুযায়ী অপর আসামীদের ও মূল হোতাদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১১ জুন রাত ৯টার দিকে শেরপুর থেকে বাড়ি ফেরার পথে পারকুল সামিট বিবিয়ানা পাওয়ার প্ল্যান্ট রোডে মুখোশপরা একদল দুর্বৃত্ত তাকে কুপিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে। দুর্বৃত্তরা তাকে হত্যার চেষ্টা করলেও অল্পের জন্য তিনি বেঁচে যান। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনার পর থেকে সুশীল সমাজের পক্ষ থেকে জড়িতদের গ্রেফতারপূর্বক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়।