রায়হান উদ্দিন সুমন, বানিয়াচং থেকে ॥ বানিয়াচং-হবিগঞ্জ সড়কের নতুনবাজারমুখী সিএনজি অটোরিকশা চলাচল বন্ধ রয়েছে গত তিন দিন ধরে। ফলে ওই রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী যাত্রী সাধারণ পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে। যাত্রীরা সময় ও ভাড়া বেশি দিয়ে অন্য বাহন দ্বারা আসা-যাওয়া করতে বাধ্য হচ্ছেন জেলা শহরে।
সূত্র জানায়, বানিয়াচং-হবিগঞ্জ রোডে হবিগঞ্জ খোয়াই নদীর উত্তর পাড়ের স্ট্যান্ড থেকে হবিগঞ্জ সমিতির সিএনজি অটোরিকশা চালকরা স্ট্যান্ড থেকে সরাসরি যাত্রী নিয়ে পার্শ্ববর্তী উপজেলা আজমিরীগঞ্জ যায়। এর ফলে বানিয়াচং ৩নং ইউপি অফিস সংলগ্ন সিএনজি স্ট্যান্ড থেকে হবিগঞ্জগামী যাত্রী কম হওয়ায় ওই স্ট্যান্ডের সিএনজি গাড়ির মালিক ও চালকরা বাধ্য হয়ে তাদের গাড়ি বন্ধ করে দিয়েছেন। এদিকে নতুন বাজার স্ট্যান্ড থেকে সিএনজি চলাচল বন্ধ থাকায় যাত্রীরা পড়েছেন বিপাকে। অন্য যানবাহনে যেতে সময়ও লাগছে বেশি। অপরদিকে হবিগঞ্জ স্ট্যান্ড থেকেও কোনো সিএনজি ছেড়ে না আসায় ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষার্থীসহ সাধারণ যাত্রীগণ। বানিয়াচং সিএনজি মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক (একাংশ) নাজমুল হোসেন জানান, হবিগঞ্জ সমিতির গাড়ি হবিগঞ্জ স্ট্যান্ড থেকে সরাসরি বানিয়াচং, পশ্চিমবাগ ও শিবপাশা হয়ে আজমিরীগঞ্জ চলাচল করায় আামদের যাত্রী কমে গেছে। আবার তারা আমাদের গাড়ি রাখতেও দিচ্ছে না জায়গামতো। স্ট্যান্ড ছাড়া গাড়ি রাখলে আমাদের গাড়ি ব্যাটারিসহ মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি হয়ে যায়। তাই আমরা বাধ্য হয়ে গাড়ি চলাচল বন্ধ রেখেছি। যতদিন পর্যন্ত এর কোনো সমাধান না হবে আমরা গাড়ি চালানো বন্ধ রাখবো।
এই বিষয়ে ওই রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী যাত্রী আবুল কালাম জানান, গত তিন দিন ধরে সিএনজি চলাচল বন্ধ থাকায় জেলা শহরে যেতে খুব কষ্ট হচ্ছে। এই গাড়ি দিয়ে যেতে সময় কম লাগায় আমি সিএনজি দিয়েই আসা-যাওয়া করি। আমি আশা করবো যাত্রীদের ভোগান্তির কথা বিবেচনা করে দ্রুত বিষয়টি মিমাংসা করে পুনরায় সিএনজি চালানোর জন্য।
বানিয়াচং সিএনজি মালিক সমিতির সভাপতি (একাংশ) মোয়াজ্জেম হোসেনের সাথে বিষয়টি নিয়ে কথা হলে তিনি এই প্রতিবেদককে জানান, হবিগঞ্জ সমিতির চালকরা আমাদের এলাকার চালকদের সাখে খারাপ আচরণ করে। গাড়ি রাখতেও জায়গা দেয় না আমাদের চালকদের। স্ট্যান্ডের পাশে গাড়ি রাখলে গাড়ি থেকে বিভিন্ন যন্ত্রাশং চুরি হয়ে যায়। এসব নিয়ে কথাবার্তা বললে তারা আমাদের পাত্তাই দেয় না। এসবের কারণে আমরা ওই লাইনে সিএনজি চালানো বন্ধ রেখেছি। তবে তা সাময়িক সময়ের জন্য।