বড়বাজারস্থ শহীদ মিনারের কাছে মুক্তিযোদ্ধা চত্ত্বর থেকে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করা হবে
স্টাফ রিপোর্টার, বানিয়াচং থেকে ॥ বানিয়াচংয়ে দুর্যোগ সহনীয় ঘর পেলেন ১১ গৃহহীন পরিবার। দরিদ্র জনগোষ্ঠীর সামান্য জমি বা ভিটা আছে তবে টেকসই ঘর নেই এ রকম ১১ পরিবারকে ৮শ’ বর্গফুটের ২শতাংশ জমিতে পাকা টিনশেড ঘর নির্মাণ করে দিচ্ছে সরকার। মঙ্গলবার দুপুরে মোহরেরপাড়ার উপকারভোগী দরিদ্র সোহাগ মিয়ার ঘর নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক মাহমুদুল কবীর মুরাদ। তিনি টেকসই নির্মাণ কাজে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
সূত্র বলেছে, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের কাবিটা কর্মসূচির আওতায় ১১টি ঘরে বরাদ্দ মিলেছে ২৮ লাখ ৩৮ হাজার টাকা। গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন ও দুর্যোগ ঝুঁকি কমানোর লক্ষ্যে টেকসই ঘর নির্মাণ করে দিচ্ছে সরকার। সেমিপাকা প্রতিটি ঘরে দুইটি রুম, দুটি বারান্দা, একটি বাথরুম ও একটি রান্না ঘর। দুর্যোগসহনীয় এসব ঘর হবে টেকসই এবং প্রতিটি ঘরেই থাকবে সোলার সিস্টেম আর বজ্রপাত নিরোধক ব্যবস্থা। প্রতিটি ঘর নির্মাণে খরচ হচ্ছে ২ লাখ ৫৮ হাজার টাকা।
জেলা প্রশাসক মাহমুদুল কবীর মুরাদ সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, বানিয়াচং বড়বাজারস্থ শহীদ মিনারের কাছে মুক্তিযোদ্ধা চত্ত্বর থেকে অবৈধ দখলদারদের অতিসত্ত্বর উচ্ছেদ করা হবে। এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার জন্য ইউএনওকে বলে দেন তিনি। উচ্ছেদ অভিযান করতে যদি কোনো ধরণের বাধা বিপত্তি আসে সেটা তিনি দেখবেন বলেও জানান। জেলা প্রশাসক মাহমুুদুল কবীর মুরাদ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে এগারটায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে বসে এসব কথা বলেন। পরে তিনি বানিয়াচং ২নং উত্তর-পশ্চিম ইউনিয়নের রঘু চৌধুরী পাড়ায় অবস্থিত ৩নং ইউনিয়ন ভূমি তহসিল অফিস পরিদর্শন করেন।
মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা সদরের মোহরেরপাড়া সোহাগ মিয়ার ঘরের নির্মাণ কাজ পরিদর্শনকালে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে ছিলেন ইউএনও মো. মামুন খন্দকার, হবিগঞ্জ জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম, ওসি মোহাম্মদ রাশেদ মোবারক, পিআইও প্লাবন পাল, হবিগঞ্জ জেলা সাংবাদিক ফোরাম সভাপতি শাকিল চৌধুরী, বানিয়াচং প্রেসক্লাব সেক্রেটারি তোফায়েল রেজা সোহেল, সাংবাদিক মখলিছ মিয়া, রায়হান উদ্দিন সুমন।