স্টাফ রিপোর্টার ॥ চলমান উচ্ছেদ অভিযানের আড়ালে এক লীজ গ্রহীতার দোকান ঘর ভেঙ্গে ফেলেছে হবিগঞ্জ পৌরসভা। লীজ গ্রহীতার লীজের মেয়াদ রয়েছে আরও ৫ বছর। অবৈধভাবে দোকানঘর উচ্ছেদ না করার জন্য ইতিমধ্যে ১৪৪ ধারায় এডিএম কোর্টে মামলাও করা হয়েছে। মামলা রেখেই দোকান ঘর বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। উচ্ছেদ অভিযানের আগে কোনো নোটিশ দেয়া হয়নি। এডিএম কোর্টে দায়ের করা মামলায় হবিগঞ্জের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আমেনা খাতুনকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এর তদন্ত কার্যক্রম শুরুর আগেই এ ঘটনা ঘটিয়েছে হবিগঞ্জ পৌর কর্তৃপক্ষ। পৌরসভার সচিব ফয়েজ উদ্দিন নিজে দাঁড়িয়ে থেকে দোকান ঘর গুড়িয়ে দেন। তার বিরুদ্ধেই পার্শ্ববর্তী এক মালিক পক্ষের কাছ থেকে সুযোগ সুবিধা গ্রহনের অভিযোগ করেন লীজ গ্রহীতা শাহজাহান। কোনো নোটিশ ছাড়া দোকান ঘর উচ্ছেদ করায় শাহজাহান মিয়ার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে অনুমান ৬০ হাজার টাকা।
অভিযোগে জানা যায়, হবিগঞ্জ পৌরসভার দক্ষিণ দিকে অবস্থিত ড্রেনে ওই এলাকার সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীরা ময়লা আবর্জনা ফেলে স্তুপে পরিণত করে আসছিল। ফলে এর উজান দিকের শায়েস্তানগরের বাসাবাড়িতে অল্প বৃষ্টিতেই পানিতে সয়লাব হয়ে যেত। বিভিন্নভাবে উদ্যোগ নিয়েও ড্রেনে স্তুপ করে ময়লা আবর্জনা ফেলা বন্ধ করা সম্ভব হয়নি। এসব সমস্যার কথা উল্লেখ করে হবিগঞ্জ পৌর কর্তৃপক্ষ ড্রেনের উপর লীজ গ্রহীতার নিজ খরচে দোকান ঘর নির্মাণ করার শর্তে একটি দোকান ঘর ভাড়া দেয়ার জন্য ২৯/৯/২০১৪ইং তারিখে পৌর সচিব ফয়েজ উদ্দিন স্বাক্ষরিত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। গণবিজ্ঞপ্তির প্রেক্ষিতে আবেদনকারীদের মধ্য থেকে যাচাই বাছাই শেষে যশেরআব্দা এলাকার মোঃ শাহজাহানকে লীজ গ্রহীতা হিসাবে ১০ বছরের জন্য নির্বাচন করে পৌর কর্তৃপক্ষ। শাহজাহান সেখানে নিজ খরচে দোকান ঘর নির্মাণ করে এবং বিভিন্ন স্টেশনারী ও পত্রিকা বিক্রির জন্য দোকান ঘরটি ব্যবহার করে। এদিকে ড্রেনের মুখে ময়লা আবর্জনা ফেলতে না পারায় আশপাশের কয়েকটি প্রতিষ্ঠানসহ কিছু ব্যক্তির মারাত্মক সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। একটি মামলা চলমান থাকার পরও কোনো ধরনের নোটিশ প্রদান ছাড়াই মঙ্গলবার পৌর সচিব ফয়েজ উদ্দিনের নেতৃত্বে শাহজাহানের দোকান গুড়িয়ে দেয়া হয়। মামলা থাকার কথা এসময় মামলার দোহাই দিয়ে তা থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ করলে তিনি আইন আদালতের প্রতি উষ্মা প্রকাশ করেন।
© স্বত্ব দৈনিক হবিগঞ্জের মুখ ২০১৯
ওয়েবসাইটটি তৈরী করেছে ThemesBazar.Com