পাঁপড়ি সরকার ভাবনা বৃন্দাবন সরকারি কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের শেষ বর্ষের ছাত্রী। বয়স যখন ৫ বছর তখন থেকেই পারিবারিকভাবে বাবা, কাকার কাছে সঙ্গীতের তালিম নেয়া শুরু। লেখাপড়ার পাশাপাশি চলতে থাকে সঙ্গীতের পথচলা। শুধু সঙ্গীতেই নয় ছবি আঁকা ও কবিতা আবৃত্তিতেও রয়েছে তার সমান পারদর্শিতা। পিটিআই পরীক্ষণ বিদ্যালয় থেকে শিক্ষার প্রাথমিক পাঠ শেষ করে বিকেজিসি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। সেখান থেকে এসএসসি পাশ করার পর ভর্তি হন বৃন্দাবন সরকারি কলেজে। সেখান থেকে মানবিক বিভাগে এ প্লাস পেয়ে এইচএসসি পাশ করে উচ্চ শিক্ষা লাভের জন্য ভর্তি হন একই কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগে। সেখান থেকে এবার ফাইনাল পরীক্ষা দিয়েছেন। ভাবনার বিশ^াস ভাল ফলাফল করবেন।
ভাবনা জানান, লেখাপড়ার পাশাপাশি তিনি নিয়মিত কবিতা আবৃত্তি, ছবি আঁকা এমনকি নাচেরও তালিম নেন। তিনি যেমন ভাল কবিতা আবৃত্তি করেন তেমনি ভাল নাচতেও জানেন। তবে তিনি মূলত সঙ্গীত শিল্পী। আধুনিক গান তার প্রিয় হলেও সকল ধরনের সঙ্গীতের প্রতিই তার দুর্বলতা রয়েছে। ইতিপূর্বে তিনি ‘শিশুদের জন্য হ্যাঁ বলুন’ প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে চিত্রাঙ্কনে জেলা পর্যায়ে ১ম স্থান লাভ করেন। লোকগীতিতেও হন ১ম। জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহে দেশাত্মবোধক গানে জেলা পর্যায়ে পরপর ২ বার ১ম, ২০১৭ সালে আন্তঃকলেজ প্রতিযোগিতায় রবীন্দ্র সঙ্গীতে ২য়, ২০১৯ সালে দেশাত্মবোধক গানে ১ম, রবীন্দ্র সঙ্গীত ও লোকগীতিতে ২য় স্থান লাভ করেন। এছাড়াও ২০০৪ সালে ন্যাশনাল স্টুডেন্ট কম্পিটিশন-এ অংশ নিয়ে আবৃত্তি ও গানে ১ম স্থান অর্জন করে সকল মহলে ব্যাপক প্রশংসিত হন। ২০১৭ ও ১৮ সালে জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহে দেশাত্মবোধক গানে অংশ নিয়ে তিনি বিভাগীয় পর্যায়ে ১ম স্থান লাভ করেন। এসব সাফল্য তাকে চলার পথে প্রেরণা দেয়। তার অবসর সময় কাটে গান শুনে। তার প্রিয় ব্যক্তিত্ব মা। প্রিয় খাবার চাইনিজ, প্রিয় ফুল বেলি হলেও তিনি কখনো ফল খান না। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, আজকাল বাজারে যত প্রকার ফল বিক্রি হয় কেন জানি তার মনে হয় এসব ফলে কোন না কোন প্রকার ক্যামিকেল মেশানো হয়েছে। তাই তিনি খাবারের তালিকায় ফল এড়িয়ে চলেন। শিশু বয়সে বাবা, কাকুর কাছে তার সঙ্গীতের ১ম পাঠ শুরু হলেও পরে তিনি অভিমন্য দাশের কাছে সঙ্গীতের তালিম নেয়া শুরু করেন। বর্তমানে তিনি সিলেট বেতারের তালিকাভূক্ত শিল্পী। নিজেকে সঙ্গীতে আরো ভাল করে ঝালিয়ে নিতে, বর্তমানে তিনি হবিগঞ্জে বিশিষ্ট সঙ্গীত প্রশিক্ষক স্বদেশ দাশের কাছে তালিম নিচ্ছেন। হবিগঞ্জ শহরের নোয়াহাটির বাসিন্দা ভাবনার পিতা প্রদীপ কুমার সরকার একজন ব্যবসায়ী আর মা রীনা সরকার একজন আদর্শ গৃহিণী। পাঁপড়ি সরকার ভাবনা সঙ্গীত শিল্পী হলেও ভবিষ্যতে একজন স্বনামধন্য ব্যাংকার হওয়ার স্বপ্ন দেখেন। এজন্য তিনি সকলের দোয়া ও আশীর্বাদ কামনা করেছেন।
© স্বত্ব দৈনিক হবিগঞ্জের মুখ ২০১৯
ওয়েবসাইটটি তৈরী করেছে ThemesBazar.Com