স্টাফ রিপোর্টার ॥ পুলিশের সহযোগিতায় দীর্ঘদিন পর নিজের পৈত্রিক সম্পত্তি ফিরে পেয়েছেন বানিয়াচঙ্গের মথুরাপুর গ্রামের ফারজানা বেগম। ফারজানা বেগম মথুরাপুর গ্রামের মরহুম ইয়াসিন উল্ল্যাহর কন্যা। ফারজানা বেগম জানান, একই গ্রামের আব্দুল মমিন, সোনাহর মিয়া, আব্দুর রহিম, আলী আক্তার ও আলী হায়দর গং ৮ বছর ধরে জোরপূর্বক তার পৈত্রিক সম্পত্তি দখল করে রাখে। তিনি জায়গার দখলে যেতে চাইলে মমিন গংরা তাকে মারধোর করে জোরপূর্বক দলিলে সাক্ষর নেয়ার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে আব্দুল মমিন গংরা তার পুকুরে বিষ ঢেলে মাছ মেরে ফেললে তিনি এর প্রতিবাদ করেন। এতে উত্তেজিত হয়ে আব্দুল মমিন গংরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাকে তাড়া করে এবং কেটে টুকরো টুকরো করে লাশ নদীতে ফেলে দেয়ার হুমকি দেয়। এতে ভয়ে ফারজানা বেগম পাশের বাড়িতে পালিয়ে গিয়ে আত্মরক্ষার চেষ্টা করেন। কিন্তু সেখানে গিয়েও আব্দুল মমিন গং তাকে টেনে হেচড়ে বের করে নিয়ে এসে মারপিট এবং অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে। পরে ফারজানা এ বিষয়ে আদালতে ৩ বার মামলা করেন। কিন্তু কোন লাভ হয়নি। আট বছরেও জায়গা-জমি বা পুকুরের দখল পাননি। ফারজানা বেগম মমিন গংদের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে কয়েকবার স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মেম্বারের সহায়তায় সালিশের মাধ্যমে বিরোধ মীমাংসার চেষ্টা করেন। কিন্তু তারা মেম্বারের সামনেও ফারজানাকে মারপিট এবং তার কাছে দেড় লাখ টাকা দাবি করে। অবশেষে তিনি বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বানিয়াচং সার্কেল) শেখ মোঃ সেলিমের শরণাপন্ন হন। এ ব্যাপারে তিনি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। ১২ ডিসেম্বর আব্দুল মমিন গংদের উপস্থিতিতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার উল্লেখিত বিরোধ মীমাংসা করে জায়গা জমিতে ফারজানা বেগমের অধিকার ও দখল নেয়ার ব্যবস্থা করেন। আব্দুল মমিন গং ভবিষ্যতে ফারজানার উপর আর কোন অত্যাচার করবে না বলে অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর করে। ১৩ ডিসেম্বর খাগাউড়া পুলিশ ক্যাম্পের এএসআই সামছু মিয়ার উপস্থিতিতে আব্দুল মমিন গংদের কবলে থাকা ২টি বাড়ি, ১টি জমি ও ১টি পুকুর ফারজানা বেগমকে বুঝিয়ে দেয়া হয়।
© স্বত্ব দৈনিক হবিগঞ্জের মুখ ২০১৯
ওয়েবসাইটটি তৈরী করেছে ThemesBazar.Com