বিক্ষুব্ধ জনতার মহাসড়ক অবরোধ ॥ আধা ঘন্টা যান চলাচল বন্ধ

মতিউর রহমান মুন্না, নবীগঞ্জ থেকে ॥ নবীগঞ্জে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফেরা হলো না ইয়াসমিন আক্তার (১১) নামে এক শিক্ষার্থীর। মঙ্গলবার দুপুরে পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে বেপরোয়া মাইক্রোবাস কেড়ে নিল তার প্রাণ। ঘটনাটি ঘটেছে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নবীগঞ্জ উপজেলার পানিউমদা ইউনিয়নের কুড়াগাঁও নামক স্থানে। দুর্ঘটনার পর উত্তেজিত জনতা প্রায় আধা ঘন্টা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। খবর পেয়ে পুলিশ ও এলাকার নেতৃস্থানীয় লোকজনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। নিহত ইয়াসমিন আক্তার ওই এলাকার কুড়াগাঁও গ্রামের মৃত কাছন মিয়ার মেয়ে এবং কুড়াগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
নিহতের স্বজনদের সূত্রে জানা যায়, পানিউমদা রাগীব রাবেয়া স্কুলে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার কেন্দ্র ছিল। প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার সকালে ইয়াসমিন বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় বিষয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে যায়। পরীক্ষা শেষে দুপুরে একটি সিএনজি অটোরিকশায় করে বাড়ি ফিরছিল। বাড়ির সামনে যখন সে সিএনজি থেকে নামছিল ঠিক তখনি ঢাকাগামী একটি মাইক্রোবাস (ঢাকা মেট্রো চ=১৫-২৭৮৪) তাকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই ইয়াসমিন নিহত হয়।
পানিউমদা ইউপি চেয়ারম্যান ইজাজুর রহমান জানান, এ ঘটনার পর উত্তেজিত হয়ে স্থানীয় জনতা মহাসড়ক অবরোধ করলে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। উভয় দিকে কয়েক শতাধিক গাড়ি আটকা পড়লে যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েন। খবর পেয়ে শেরপুর হাইওয়ে, নবীগঞ্জ থানা ও গোপলার বাজার ফাঁড়ি পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় যান চলাচল স্বাভাবিক করেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে শেরপুর হাইওয়ে থানার ওসি মোঃ এরশাদুল হক ভূঁইয়া জানান, খবর পেয়ে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করেছে।
এদিকে মেধাবী স্কুলছাত্রী ইয়াছমিনের অকাল মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। স্বজনদের আহাজারিতে এলাকার আকাশ বাতাস ভারি হয়ে উঠেছে।