নিলয় দাস হবিগঞ্জের স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী। শিশু বয়সে টিভিতে নৃত্য দেখে তাদের মতো তারও নাচতে ইচ্ছে করে। পরে বাবার উৎসাহে ২য় শ্রেণিতে লেখাপাড়া করার সময় থেকে সে নৃত্য চর্চা শুরু করে। নিলয়ের বাবা ছেলেকে উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে প্রশিক্ষকের ব্যবস্থা করেন। শুরু থেকে এ পর্যন্ত নিলয়ের প্রশিক্ষকের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন হবিগঞ্জের স্বনামধন্য প্রশিক্ষক প্রবীর শীল। শিক্ষকের সুযোগ্য দিক নির্দেশনা পেয়ে নিলয় নিজেকে যোগ্য করে গড়ে তুলে। ইতোমধ্যে সে বাংলাদেশ নৃত্য শিল্পী সংস্থা আয়োজিত নৃত্য প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে জেলা পর্যায়ে সেরা নির্বাচিত হয়। গত ১২ অক্টোবর সিলেট বিভাগীয় পর্যায়ে নৃত্য প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে ‘ক’ বিভাগে সে সেরা নির্বাচিত হয়। বিভাগীয় পর্যায়ে ৭ জনকে নির্বাচিত করা হয়। ওই ৭ জন বাংলাদেশ নৃত্যশিল্পী সংস্থা ও শিল্পকলা একাডেমীর যৌথ আয়োজনে গত ২৫ অক্টোবর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী ভবনে জাতীয় পর্যায়ে সারা দেশ থেকে আগত প্রতিযোগিদের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে নিলয় সেরা নির্বাচিত হয়। এছাড়াও সে স্থানীয় পর্যায়ে একাধিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে কৃতিত্ব অর্জন করে। নিলয়ের প্রিয় খাবার নিরামিশ, প্রিয় ফল আপেল, প্রিয় ফুল গোলাপ ও প্রিয় রং হলুদ। আনন্দঘন মুহূর্তে পায়জামা পাঞ্জাবী পড়তে তার ভাল লাগে। নৃত্যশিল্পী নিলয় হবিগঞ্জ শহরের যশেরআব্দা এলাকার বাসিন্দা সরকারি চাকুরিজীবী কমল কান্ত দাস ও গৃহিণী সুবর্ণা রানী দাসের পুত্র। নিলয় ভবিষ্যতে একজন বড় মাপের নৃত্য শিল্পী হতে চায়। এজন্য সে সকলের কাছে দোয়া ও আশীর্বাদ প্রার্থনা করেছে।