৭ অপ্রাপ্ত বয়স্ক অটোরিক্সা চালক গাড়িসহ আটক

রায়হান উদ্দিন সুমন, বানিয়াচং থেকে ॥ বানিয়াচঙ্গে মোটরযান আইনে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে ৪ মোটরসাইকেল চালকের বিরুদ্ধে মামলা ও জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এছাড়া সরকারি কাজে বাধা দেয়ায় ২ জনকে কারাদন্ড প্রদান করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। অভিযানে রেজিস্ট্রেশনবিহীন মোটরসাইকেল, ইজিবাইক, ব্যাটারিচালিত ৭টি অটোরিক্সা আটক করা হয়। এ সময় ড্রাইভিং লাইসেন্স ও হেলমেট না থাকায় ৪ মোটরসাইকেল আরোহীকে জরিমানা করা হয়। মঙ্গলবার সকাল ১১টায় বানিয়াচং নতুনবাজারের বিভিন্ন পয়েন্টে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মামুন খন্দকার, সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মতিউর রহমান খানের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালিত হয়। অভিযানকালে বিভিন্ন যানবাহন থামিয়ে সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ এর ৭৫ ধারায় মোটরসাইকেল চালক আবুল খায়েরকে ৫ হাজার, দীপু বণিককে ৫ হাজার, মোক্তার হোসেনকে ৫ হাজার ও পারভেজ মিয়াকে ১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এদিকে ভোক্তা অধিকার আইন ২০০৯ এর ৩৯ ও ৫২ ধারায় বিএসটিআই’র অনুমোদন ছাড়া বিভিন্ন মালামাল বিক্রি করায় মেসার্স সহিবুর স্টোরকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমান আদালত। পাশাপাশি বেপরোয়া অটোরিক্সা চালকদের বিরুদ্ধেও অভিযান চালানো হয়। বাজারের কয়েকটি পয়েন্ট থেকে ৭ জন অপ্রাপ্ত বয়স্ক অটোরিক্সা চালক ও তাদের গাড়িসহ আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মামুন খন্দকার বলেন -সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে ও সড়ক পরিবহন আইন কার্যকর করতে আমাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। ভ্রাম্যমান আদালতকে সহায়তা করেন বানিয়াচং থানার এসআই আব্দুর রহমানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ।
অন্যদিকে ভ্রাম্যমান আদালত চলাকালীন সরকারি কাজে বাধা প্রদান করায় যাত্রাপাশা নাপিতপাড়া মহল্লার আবুল খায়ের মিয়ার পুত্র আবুল বাশার অনিক ও সাগরদীঘির দক্ষিণপাড়ের মঞ্জিল মিয়ার পুত্র টমটম চালক মুর্শেদ মিয়াকে ১৫ দিনের কারাদন্ড দিয়েছেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মতিউর রহমান খান। গতকালই তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।