নবীগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ নবীগঞ্জে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে টেস্ট পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে অর্ধেকই অকৃতকার্য হওয়ার ঘটনায় ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। অকৃতকার্যরা তাদের মার্কশীট দেখার জন্য প্রধান শিক্ষকের প্রতি দাবি জানান। এ সময় প্রধান শিক্ষক তাদের শান্তনা না দিয়ে তাড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করেন। শিক্ষকের এহেন আচরনে শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। বিদ্যালয়ে হট্টগোলের খবর পেয়ে অনাকাংখিত ঘটনা এড়াতে নবীগঞ্জ থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়।
সূত্রে জানা যায়, নবীগঞ্জ শহরের হিরা মিয়া গার্লস হাইস্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ আশরাফুল আলমের বিরুদ্ধে এসএসসির নির্বাচনী (টেস্ট) পরীক্ষা নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ উঠে। ২০২০ সালের এসএসসির পরীক্ষায় অংশ নিতে এ স্কুলের মোট ২ শত ১৫ জন শিক্ষার্থী নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে ১০৮ জন শিক্ষার্থীকে কৃতকার্য দেখানো হয়। বাকী ১০৭ জন শিক্ষার্থীকে গণিতসহ ৩, ৪, ৫টি বিষয়ে অকৃতকার্য দেখিয়ে ফলাফল প্রকাশ করেন স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ আশরাফুল আলম। বৃহস্পতিবার বিকেলে হিরা মিয়া গার্লস হাইস্কুলের শিক্ষার্থীরা হট্টগোল চলাকালীন সময়ে ৯৯৯ নাম্বারে ফোন দিয়ে বিষয়টি অবগত করা হলে নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আজিজুর রহমানের নির্দেশে থানার সেকেন্ড অফিসার মোঃ সামছুল ইসলাম ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক এ প্রতিনিধিকে জানান, স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি ও শিক্ষকদের সাথে সমন্বয় না করে একক সিদ্ধান্তে ওই ফলাফল প্রকাশ করায় সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। প্রায় ৮ মাস যাবত ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই শিক্ষক-শিক্ষিকাসহ অভিভাবকদের মধ্যে সমন্বয় না করে এককভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়াসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠে শিক্ষক মোঃ আশরাফুল আলমের বিরুদ্ধে। টেস্ট পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে উল্লেখিত ঘটনার বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।
এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আশরাফুল আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, অরনা গোস্বামীসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী অসৌজন্যমূলক আচরণসহ হট্টগোলের সৃষ্টি করে।
নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদ-বিন-হাসানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বিষয়টি শুনেছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।