স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক, হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির সিনিয়য় যুগ্ম আহ্বায়ক ও টানা ৩ বারের নির্বাচিত হবিগঞ্জ পৌরসভার পদত্যাগকারী মেয়র আলহাজ্ব জি কে গউছ বলেছেন- মধ্যরাতে ভোট ডাকাতি করে ক্ষমতায় বসে আওয়ামী লীগ বাহবা নিচ্ছে আর জনগণ নিন্দা জানাচ্ছে। জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে আওয়ামী লীগ জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এই সরকারকে দেশের মানুষ এক মিনিটের জন্যও ক্ষমতায় দেখতে চায় না। দেশের মানুষ শুধু একটি ব্যালটের অপেক্ষায় রয়েছে, সুযোগ পেলেই আওয়ামী লীগ সরকারের সকল অপকর্মের জবাব দিতে দেশবাসী প্রস্তুত হয়ে আছে। শুক্রবার রাতে ইনাতাবাদে হবিগঞ্জ পৌর এলাকার ৬নং ওয়ার্ডে বিএনপির আন্দোলন সংগ্রামে নির্যাতিত নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
জি কে গউছ বলেন- পুলিশকে দিয়ে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে জনগণকে দমিয়ে রাখা যায় না। অতীতে কোন স্বৈরশাসকই বন্দুকের নল দিয়ে জনগণের কন্ঠরোধ করতে পারেনি। ভোট ডাকাতি করে ক্ষমতায় বসে থাকা আওয়ামী লীগও পারবে না। গণআন্দোলনের মুখেই শেখ হাসিনার সরকারের পতন নিশ্চিত করা হবে। তিনি বলেন- মামলা-হামলার ভয় উপেক্ষা করেই বিএনপির নেতাকর্মীরা রাজপথে আছে। শত প্রতিকুলতার মধ্যেই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনকে বেগবান করতে হবে। ইনশাআল্লাহ। সরকারের পতন নিশ্চিত করেই বিএনপি ঘরে ফিরবে।
৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সহ সভাপতি আলী আকবরের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন পৌর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল ইসলাম নানু, সদর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আজিজুর রহমান কাজল, জেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমান আউয়াল, পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক তাজুল ইসলাম চৌধুরী ফরিদ, নাজমুল হোসেন বাচ্চু, এস এম আউয়াল ও মর্তুজা আহমেদ রিপন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জহিরুল হক শরীফ, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মুশফিক আহমেদ, জেলা জাসাসের সভাপতি মিজানুর রহমান চৌধুরী, জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সফিকুর রহমান সিতু, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি এমদাদুল হক ইমরান, সাধারণ সম্পাদক রুবেল আহমেদ চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ রাজীব আহমেদ রিংগন, জেলা জাসাসের সাধারণ সম্পাদক শাহ ফারুক আহমেদ, হেলাল আহমেদ টিপু, শারফিন চৌধুরী রিয়াজ, ওয়ার্ড বিএনপি নেতা নাসির উদ্দিন, বাবুল মিয়া, ছুরত আলী, কাওছার মিয়া, নুর আলম মুন্না, আব্দুল কাইয়ুম, লিটন মিয়া, জাহির মিয়া, আব্দুল মজিদ, ইলিয়াছ মিয়া, দুলাল মিযা, হাজী জালাল উদ্দিন, সৈয়দ রুহেব, আরিফ আহমেদ, মনহর মিয়া, মস্তু মিয়া, শামীম মিয়া প্রমুখ।