সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশের রাবার বুলেট নিক্ষেপ ॥ ওসি তদন্ত গোলাম দস্তগীর এসআই আলাউদ্দিন এএসআই নিজাম কনেস্টেবল ফারুক ও রকিবুল আহত

মোঃ আলাউদ্দিন আল রনি ॥ হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার বাঘাসুরা ইউনিয়নের কালিকাপুর গ্রামে মসজিদ ও মাদ্রাসার জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে শুক্রবার রাতে দু’পক্ষের সংঘর্ষে পুলিশসহ কমপক্ষে ৫০ জন আহত হয়েছে। আহতদের হবিগঞ্জ আড়াইশ’ শয্যা হাসপাতাল ও সিলেট ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ও চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ১৫ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে থানার ওসি তদন্ত গোলাম দস্তগীর, এস.আই আলাউদ্দিন, এএসআই নিজামউদ্দিন, কনেস্টেবল ফারুক ও রকিবুল আহত হয়েছেন।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়- কালিকাপুর গ্রামের মসজিদ ও মাদ্রাসার জমি নিয়ে ইউপি সদস্য তাজুল ইসলাম মহালদার গ্রুপ বনাম নজরুল গাজী গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। শুক্রবার নজরুল গাজী মাগরিবের নামাজ পড়ার জন্য মসজিদে যাওয়ার সময় তাজুল ইসলাম গ্রুপের লোকজন তার উপর হামলা করে। খবর পেয়ে নজরুল গাজীর লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে আসলে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। ২ ঘন্টাব্যাপি সংঘর্ষে মহিলাসহ কমপক্ষে ৫০ জন আহত হয়। খবর পেয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ কেএম আজমিরুজ্জামান বিপুল সংখ্যক পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ১৫ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। গুরুত্বর আহত কাজল মহালদার (৪২), লাউস মিয়া (৩৫), ইসমাইল মিয়া (৩০), নজরুল গাজী (৪০), স্বপন গাজী (৪৩), তামস্যা মিয়া (৬৫), খোকন মিয়া (৩০), লিটন মিয়া (৪০), মানিক মিয়া (৪২), আকাশ মহালদার (২৫), শাহিন মিয়া (৪২), রকিব মিয়া (২৫), সজল মহালদার (৩৫), ছায়েদ মিয়া (৫০), জাদব মিয়া (৩২), সাজু মিয়া (৪০), রোকনউদ্দিন গাজী (৩৫), সোহাগ মিয়া (৩২), কামাল মিয়া (৪৫), আহাদ মিয়া (৫০), রুবেল মহালদার (৪৫), সেলিম মিয়া (৪৫), আদিল মিয়া (৩০), সুফিয়া আক্তার (৪৫), জমশেদ মিয়া (৩৪), জামিল মিয়া (৩০), রাশেল মিয়া (৩০), মানিক মিয়া (৪২), দিয়ারিশ মিয়া (৫০), আওলাদ আলী (৫০), ইব্রাহিম মিয়া (৪০), ফররুক মিয়া (৪০), বিংরাজ মিয়া (৫৫), জয় মিয়া (২৫), শান্ত মিয়া (১৬), লিলু মিয়া (৫২) ও বজলু মিয়াকে (৬০) হবিগঞ্জ সদর আধূনিক হাসপাতল ও সিলেট ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ও চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এ সময় কালিকাপুর বাজারে কয়েকটি দোকান ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।
থানার ওসি তদন্ত গোলাম দস্তগীর জানান-সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে আমি সহ ৫জন পুলিশ আহত হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এলাকায় পুলিশ টহল রয়েছে।
থানার অফিসার ইনচার্জ কেএম আজমিরুজ্জামান জানান- পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ১৫ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। জিঞ্জাসাবাদের জন্য কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।