জামাল মোঃ আবু নাছের ॥ ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে সন্ধ্যারাতেই দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। গত সোমবার রাত ৮টা ৪০ মিনিটে মহাসড়কের বি-বাড়িয়া জেলার সরাইলের ইসলামাবাদ ও বাড়িউড়ার মাঝামাঝি স্থানে ঔষধ কোম্পানীর ব্যবস্থাপক বিশ্বনাথ সরকারকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে অর্থকড়ি লুট ও তার মোটর সাইকেল ছিনিয়ে নিয়েছে ডাকাতরা। ঘটনার ১৫ মিনিট পর ঘটনাস্থলে গিয়ে হাজির হয় সড়কের টহলরত পুলিশ।
ভুক্তভোগী ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, জেনারেল ফার্মাসিটিকেলস লিমিটেডের হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক বিশ্বনাথ সরকার অফিসের কাজ শেষ করে গত সোমবার সন্ধ্যার পর মটর বাইকে (ঢাকা-মেট্রো-হ-৪৯-৪৮৮৭) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহর থেকে মাধবপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন।
রাত ৮টা ৪০ মিনিটে মহাসড়কের ইসলামাবাদ এলাকায় পেছন থেকে দ্রুতগতিতে এসে হেলমেট পরিহিত দুই মোটর সাইকেল আরোহী বিশ্বনাথের বাইকের গতিরোধ করে। মোটর বাইকসহ অন্যান্য জিনিসপত্র ছিনিয়ে নিতে বিশ্বনাথের সাথে ধস্তাধস্তি শুরু করে দুর্বৃত্তরা। তারা একটি পিস্তলও ছোরা দেখিয়ে প্রথমে বিশ্বনাথকে জিম্মি করে।
পরে তার কাছ থেকে নগদ ৬ হাজার টাকা, একটি এন্ড্রয়েট মুঠোফোন সেট ও মোটর বাইকটি ছিনিয়ে নিয়ে যায়। সবকিছু খুঁইয়ে বিশ্বনাথ রিকশায় করে ঘটনাস্থল থেকে ২-৩ শত গজ দূরে বাড়িউড়া বাজারে একটি ঔষধের দোকানে যান। ১৫ মিনিট পরই সেখানে হাজির হন সড়কে টহলরত সরাইল থানার এসআই মো. খলিলুর রহমানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ।
বিশ্বনাথের কাছ থেকে পুরো ঘটনা জেনে দ্রুত থানায় যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে চলে যায় পুলিশ। ডাকাতের কবলে পড়া বিশ্বনাথ সরকার বলেন, মটরবাইকে এসে এরা খুব ঠান্ডা মাথায় আমার মটরবাইকের গতিরোধ করেছে। পরে আস্তে করে সড়কের পাশে নিয়ে অস্ত্র ও ছোরা দিয়ে আঘাত করার ভয় দেখিয়েছে। প্রাণভয়ে আমি আত্মসমর্পণ করেছি।
তারা মোটরবাইক সহ সবকিছু নিয়ে কুট্রাপাড়ার দিকে চলে গেছে। কিন্তু এ সময়ের মধ্যে আমি সামনে পিছনে কোথাও পুলিশের দেখা পাইনি। হঠাৎ দেখি কুট্রাপাড়ার দিক থেকে সরাইল থানা পুলিশের একটি পিকআপ শাহবাজপুরের দিকে যাচ্ছে। হাতে ইশারা দিয়ে থামিয়ে এসআই খলিলুর রহমানকে ঘটনাটি বলেছি। তিনি আমাকে দ্রুত থানায় গিয়ে অভিযোগ করার পরামর্শ দিয়েছেন। সড়কের দায়িত্বে থাকা এসআই মো. খলিলুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমি মাগরিবের পর থেকেই মহাসড়কে দায়িত্ব পালন করছিলাম। ঘটনার সময় আমি বাড়িউড়া বাজারে অবস্থান করছিলাম।
সরাইল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. নূরুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমি নিজেই ঘটনাস্থল সরজমিনে দেখতে যাচ্ছি। সন্ধ্যা ৭টার পর থেকেই সড়কে পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে। ভুক্তভোগীকে লিখিত অভিযোগ করতে বলেছি।
© স্বত্ব দৈনিক হবিগঞ্জের মুখ ২০১৯
ওয়েবসাইটটি তৈরী করেছে ThemesBazar.Com