স্টাফ রিপোর্টার ॥ মাধবপুর উপজেলার বঙ্গবীর ওসমানী উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ধর্ষণের প্রতিবাদ ও ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়ে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেছে বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার দুপুরে হরষপুর রেল স্টশনে মানববন্ধনে শিক্ষার্থী, এলাকাবাসী, অভিভাবক, বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক দলের নেতারা অংশগ্রহন করেন। ঘন্টাব্যাপি মানববন্ধনে এলাকার সহ¯্রাধিক লোক অংশগ্রহন করে ধর্ষকদের ফাঁসির দাবি জানায়। মানববন্ধন শেষে বঙ্গবীর ওসমানী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ ফারুক আহামেদের সভাপতিত্বে ও শিক্ষানুরাগী ডাঃ আব্দুস সাত্তারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক আহাম্মেদ পারুল, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য তাজুল ইসলাম, শিক্ষক প্রতিনিধি সদস্য আব্দুল হাই, নারায়ন চন্দ্র পাল, অভিভাবক সদস্য আশরাফ আলী বাবুল, আবু বক্কর ছিদ্দিক, যুবলীগ নেতা মিজানুর রহমান, ধর্মঘর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল মিয়া, সাধারণ সম্পাদক আরমান চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, শিক্ষার্থীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অমিত হাসান, মারুফ আহাম্মেদ প্রমুখ।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফারুক আহমেদ জানান, বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রীকে গত ১৮ জুন রাতে পড়ার সময় দূর্গাপুর গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে প্রবাস ফেরত মোস্তফা কামাল (৪০) ও একই গ্রামের ওয়ায়েদ আলীর ছেলে শাহেদ মিয়া (৪৫) ঘরের জানালা ভেঙ্গে কালো পোশাক পরিহিত অবস্থায় ঘরে ঢুকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে বড় মেয়েকে জিম্মি করে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। লম্পট দুইজন ধর্ষণ শেষে যাবার সময় হুমকি দেয় ঘটনাটি কাউকে জানালে পরে এসে বাড়ির সবাইকে মেরে ফেলবে। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর পিতা বাদি হয়ে পরদিন ১৯ জুন মোস্তফা কামাল ও শাহেদ মিয়ার নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা দিলে পুলিশ ২ জনকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায়। এরর থেকে মোস্তফা কামাল ও শাহেদের পরিবারের লোকজন মামলা তুলে নেয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের চাপ সৃষ্টি করে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাসিমনগর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মোরশেদ আলম জানান, এ মামলায় প্রধান ২ আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কেউ ভয় প্রদর্শন করে এমন কিছু তদন্তে প্রমাণিত হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।