স্টাফ রিপোর্টার ॥ নারী নির্যাতন মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন চুনারুঘাট উপজেলার আহম্মদাবাদ ইউনিয়নের ৪ বারের নির্বাচিত সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল লতিফ ও তার ১১ স্বজন। মঙ্গলবার দুপুরে হবিগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক জিয়া উদ্দিন মাহমুদ এক রায়ে তাদেরকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালে চুনারুঘাট উপজেলার গাদিশাল গ্রামের আবুল কালামের মেয়ে বাদী হয়ে আব্দুল লতিফ ও তার ভাই-ভাতিজাদেরকে আসামী করে নারী নির্যাতন মামলা দায়ের করেন। পুলিশ মামলা তদন্ত করে ঘটনার কোন সত্যতা না পেয়ে চুড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। পরে বাদী আদালতে এই প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি প্রদান করলে বিজ্ঞ আদালত অভিযোগটি আমলে নিয়ে বিচার শুরু করে। বিজ্ঞ বিচারক ৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ ও যুক্তিতর্ক শেষে মঙ্গলবার আব্দুল লতিফসহ ১১ আসামীকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন। আসামীপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন হবিগঞ্জের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবুল খায়ের ও অ্যাডভোকেট সুফি মিয়া।
এ ব্যাপারে বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবুল খায়ের বলেন, এই মামলাটি দুঃখজনক। একজন জনপ্রিয় জনপ্রতিনিধি ও রাজনীতিবিদ এবং বীরমুক্তিযোদ্ধাকে হয়রানী করতে মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলার বাদী সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ এর মেয়ের মত। কিন্তু একটি চক্র তাকে দিয়ে মামলাটি দায়ের করায়।
মামলা সম্পর্কে সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ বলেন, আমাকে রাজনৈতিকভাবে হয়রানী করতে একটি চক্র আমার এবং আমার পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা ও হয়রানীমূলক মামলা দায়ের করেছে। আমার বাড়িতে অনেক মন্ত্রীসহ সরকারের উচ্চ পর্যায়ের লোকজন আসেন এটা তাদের সহ্য হয় না। আমি এবং আমার পরিবারের অনেকেই মুক্তিযোদ্ধা। আওয়ামী লীগের রাজনীতি আমাদের রক্তে মিশে আছে। জনগণ আমাকে ৪ বার চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেছে। কিন্তু ওই কুচক্রী মহলটি আমাকে হয়রানী করতে উঠে পড়ে মাঠে নেমেছে। এই রায়ের ফলে আমি আনন্দিত।