চুনারুঘাট প্রতিনিধি ॥ চুনারুঘাট উপজেলার নতুনব্রীজ কুটিরগাঁও এলাকায় পিতার বিক্রিত জমি দখলের চেষ্ঠা করছেন এক মহিলা। জমি দখলে নিতে পিতার নাম পরিবর্তনের চেষ্ঠা করে ব্যর্থ হয়েছেন।
অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার উবাহাটা ইউনিয়নের কুটিরগাঁও গ্রামের এস এ রেকর্ডিয় মালিক এলেমান উরপে আঃ মন্নান এস এ ২৩৫ নং খতিয়ানে ৩৭৮ নং দাগে মোট জমি .০৮ আট শতাংশ ভুমি হতে ১৯৮৭ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি ১১৭৭ নং দলিল মুলে মোঃ ফারুক মিয়ার নিকট ৩৭৮ নং দাগে ০৫.২৫ সোয়া পাঁচ শতক ও একই তারিখে ১১৭৮ নং দলিল মুলে ৩৭৮ নং দাগে ০২.৭৫ আঃ ওয়াদুদের নিকট বিক্রি করেন। আঃ ওয়াদুদের ওয়ারিশান ক্রয় করার পরই উক্ত ভুমিতে পাকা দালান করে অদ্যবদি বসবাস করছেন। চলমান জরিপে ডি পি ৮২১ নং খতিয়ানে ৬০৫ নং দাগে তাদের নামে রেকর্ডভুক্ত করান। ফারুক মিয়া তার অংশে মালিক দখলকার থেকে চলমান সেটেলমেন্ট জরিপে ডি পি ৬৭৫ নং খতিয়ানে হালে ৬০৫ নং দাগে তার নামে রেকর্ড ভুক্ত করান এবং ২০০৮ সালে ৯১২ নং খতিয়ানে নামজারী করে ২০০৮ সালের ৩ জুন ২০৯০ নং দলিল মুলে শাহ আব্দুজ জাহিরের নিকট বিক্রি করেন। তিনি মালিক দখলকার হয়ে ২০০৮ সালে ৯৪৯ নং খতিয়ানে নামজারী করে ভোগদখলে থেকে ২০১৬ সালের ২৪ এপ্রিল ১৯৫২ নং দলিল মুলে হাজী আব্দুল আহাদ ও সাহিদুর রহমানের নিকট বিক্রি করে দখল সমজে দেন। কিন্তু ইদানিং এলেমান উরপে আঃ মন্নানের মেয়ে আইরিন আক্তার উক্ত জমি দখল ও আত্মসাত করার জন্য চলছাতুরির আশ্রয় নিয়েছেন। তিনি উক্ত ভুমি তার বাবা বিক্রি করেননি এমনকি তার পিতার নাম আঃ মন্নান নয় বলে উক্ত ভুমিটি জোরপূর্বক দখল ও আত্মসাত করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন। প্রকৃত পক্ষে তার পিতার নাম আঃ মন্নান ওরপে এলমান। তদন্তে দেখা যায়, আইরিন আক্তারের জাতীয় পরিচয়পত্রে পিতার নাম আঃ মন্নান, এন আইডি নং-১৯৮৫৩৬২৪৪১৭২৮৬২৩৯ । এমনকি তার বিয়ের কাবিনে পিতার নাম আঃ মন্নান, তার বোনের জাতীয় পরিচয়পত্রে ও ভোটার লিস্টে পিতার নাম আঃ মন্নান, এন আইডি নং-১৯৮৪৩৬২৪৪১৭০০০০০১ ভোটার নং-৩৬১৬৬৩০০০০০৬। বিভিন্ন দলিল পত্রেও দেখা যায়, তার পিতার নাম আঃ মন্নান। আইরিন আক্তার উক্ত জমি দখলের জন্য তার পিতার প্রকৃত নাম আঃ মন্নান পরিবর্তন করে এলেমান করার জন্য ২০১৭ সালের ২৫ জানুয়ারি জেলা নির্বাচন অফিসে আবেদন করে ব্যর্থ হন। এ বিষয়ে ১ম ক্রেতা ফারুক মিয়া প্রতিবাদ করলে আইরিন আক্তার তার বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ২ এপ্রিল নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে দং নং ৩৮৩/১৫ একটি ধর্ষণ মামলা করেছিলেন। মামলাটি আদালতে মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। তারপরও ক্ষ্যান্ত হননি আইরিন আক্তার।