ভূমির মালিক মফিজ মিয়ার ওয়ারিশানদের সম্মতি

ভূমি মালিকের অনুমতি নিয়েই হবিগঞ্জ শহরের বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম ডাঃ সামছুল হোসেন উম্দা মিয়া বেইলী ব্রীজ সংলগ্ন স্থানে বিজয়া দশমীর প্যান্ডেল ও প্রতিমা বিসর্জন করা হচ্ছে। হবিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রবিউল ইসলাম ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুক্তিযোদ্ধা মরহুম ডাঃ সামছুল হোসেন উম্দা মিয়া বেইলী ব্রীজ সংলগ্ন স্থানে বিজয়া দশমীর প্যান্ডেল তৈরী ও প্রতিমা বিসর্জনের ইচ্ছা প্রকাশ করলে ভূমির মালিক মফিজ মিয়ার ওয়ারিশানগণ লিখিতভাবে তাতে সম্মতি প্রদান ও সহযোগিতা করবেন বলে জানান।
এর আগে ২৪ সেপ্টেম্বর উল্লেখিত জায়গায় মালিকপক্ষের অনুমতি স্বাপেক্ষে বিজয়া দশমীর প্যান্ডেল ও প্রতিমা বিসর্জনের জন্য জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেন ভূমির মালিক সৈয়দ লুৎফুর রহমান কাওছার, মোছাঃ ফজলুতুন্নেছা, মোঃ নানু মিয়া, মোঃ আব্দুল হান্নান ও মোঃ মিজান মিয়া। আবেদনে তারা উল্লেখ করেন- এলএ কেইস নং ৫/৭১-৭২ মূলে হবিগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধের জন্য আমাদের মালিকানা জমি সাবেক আথুকুড়া মৌজার ৫২নং খতিয়ানের ৪১০৭ দাগের ৩ (তিন) শতক ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়। যার আংশিক মূল্য জমির এসএ রেকর্ডীয় মালিক মফিজ মিয়ার ওয়ারিশানগণকে প্রদান করা হয়। পরে সাবেক পৌর মেয়র জি,কে গউছ তৎকালীন সময়ে আরএস রেকর্ড পানি উন্নয়ন বোর্ডের দাবি করে ব্যক্তি মালিকানা জায়গায় কফি হাউজ নির্মাণ করতে চাইলে আমরা জমির মালিকগণ মামলা মোকদ্দমা করলে কাজ বন্ধ ও টেন্ডার বাতিল হয়। বিগত সেটেলম্যান্ট জরীপে আরএস ১২২০৮নং দাগের আংশিক ভূমি পানি উন্নয়ন বোর্ডের নামে ভুলবশত রেকর্ড হলে আমরা আথুকুড়া মৌজার ৫২নং খতিয়ানের ৪১০৭ দাগের রেকর্ডীয় মালিক মফিজ মিয়ার ওয়ারিশান সৈয়দ লুৎফুর রহমান কাওছার গংরা আরএস রেকর্ড সংশোধনের দাবিতে ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনাল আদালতে স্বত্ব ৪৭৮/২০১৪নং মোকদ্দমা দায়ের করলে আদালত আরএস রেকর্ড সংশোধনের আদেশ দেন। সে অনুযায়ী মফিজ মিয়ার ওয়ারিশানদের নামে আথুকুড়া মৌজার ৪০১১নং নামজারী খতিয়ানে ১২২০৮ দাগ নামজারী হয় এবং ১৪২৬ বাংলা পর্যন্ত খাজনা পরিশোধ করা হয়। ভূমির মালিকদের অনুমতি সাপেক্ষে বিজয়া দশমীর প্যান্ডেল ও প্রতিমা বিসর্জন করলে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় থাকবে বলে আবেদনে উল্লেখ করেন তারা।
এদিকে- আবেদন পাওয়ায় ব্যক্তি মালিকানাধীন ভূমিতে মালিক পক্ষের অনুমতি স্বাপেক্ষে বিজয়া দশমীর প্যান্ডেল ও প্রতিমা বিসর্জনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বানিয়াচং ও হবিগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং পুলিশ সুপারকে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করেন জেলা প্রশাসক। পরবর্তীতে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সাখাওয়াত হোসেন রুবেল এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রবিউল ইসলাম সৈয়দ লুৎফুর রহমান কাওছারসহ মালিক পক্ষের সাথে যোগাযোগ করে ওই স্থানে বিজয়া দশমীর প্যান্ডেল ও প্রতিমা বিসর্জন করা হবে মর্মে জানান। এছাড়া গত ৩০ সেপ্টেম্বর হবিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রবিউল ইসলাম ভূমির মালিকগণকে নোটিশও প্রদান করেন। পরে জায়গাটিতে আপতত কোন স্থাপনা না থাকায় ভূমির মালিকগণ বাংলা ১৪২৬ সনের বিজয়া দশমীর প্যান্ডেল ও প্রতিমা বিসর্জনে একমত পোষণ এবং লিখিতভাবে সম্মতি প্রদান করেন। পরে হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মিজানুর রহমান মিজান ও বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুন খন্দকারকেও সম্মতি প্রদানের বিষয়টি অবগত করেন ভূমির মালিকগণ।