![](https://dailyhabiganjermukh.com/wp-content/uploads/2019/10/brick.jpg)
নবীগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ একে তো অননুমোদিত ইটভাটা, তার উপর গড়ে উঠেছে সিন্ডিকেট। পরিবেশ দূষণের ফলে রুদ্ধশ্বাসের সঙ্গে ইটের মূল্য উর্ধ্বশ্বাস তৈরি করেছে নবীগঞ্জ উপজেলাবাসীর। সিন্ডিকেট করে ইটের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে নবীগঞ্জ উপজেলার ইটভাটার মালিকরা। উপজেলার উৎপাদনের অধিকাংশ এলাকার ইট ভাটায় এই সিন্ডিকেট সক্রিয় রয়েছে। এতে উপজেলায় ইটভাটাগুলোতে সরকার নির্ধারিত মূল্যের আরও অধিক দাম হাতিয়ে নিচ্ছে সিন্ডিকেটটি। ফলে দিন দিন আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে এই সিন্ডিকেটটি। অতিরিক্ত অর্থ আদায় ছাড়াও ভাটা মালিকেরা ছোট আকারের ইট তৈরি করে ক্রেতাদের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বিএসটিআই সূত্রে জানা গেছে, নির্মাণ সামগ্রী ইট তৈরির জন্য বিএসটিআই সঠিক পরিমাণ নির্ধারণ করেছে। এ অনুযায়ী প্রতিটি ইটের দৈর্ঘ্য ২৪ সেন্টিমিটার, প্রস্থ ১১.৫ সেন্টিমিটার ও উচ্চতা ৭ সেন্টিমিটার। কিন্তু উপজেলার অধিকাংশ ইট ভাটার ইটের সাইজ ছোট হওয়ায় প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ইট দিয়ে কাজ করতে হচ্ছে ক্রেতাদের, ফলে দুই দিক দিয়েই ঠকছেন ক্রেতারা। অবৈধ ইট ভাটার পাশাপাশি ভাটাগুলিতে নির্বিচারে চারাগাছ পোড়ানো হচ্ছে। ইটের সাইজ ছোট করে তৈরি করা হচ্ছে তারপরও দাম রাখা হচ্ছে বেশি। অপরদিকে গোটা কয়েকটি ইটভাটার পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি থাকলেও অনেক ইটভাটা পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি ছাড়াই চলছে। ১৯৮৯ ও ২০০১ সালের ইট পোড়ানো নিয়ন্ত্রণ আইনের ১৭নং অনুচ্ছেদের ৪ ও ৫ ধারা অনুযায়ী আবাদি জমিতে কোন ইটভাটা তৈরি করা যাবে না। সেই সঙ্গে কাঠ পোড়ানো নিষিদ্ধ এবং ঘনবসতিতে ইটভাটা স্থাপন না করারও বিধান আছে। কিন্তু এ আইনের প্রতি ইটভাটার মালিকেরা বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাচ্ছেন। এছাড়া ১২০ ফুট চিমনী ব্যবহার করার বিধান থাকলেও এখানকার ইটভাটাগুলি তাও মানছে না। অনেক ইটভাটার চিমনী এখনও উন্নত প্রযুক্তিতে রূপান্তর করা হয়নি। তাই ইটভাটায় জ্বালানি হিসাবে কাঠ ও অতিরিক্ত মাত্রার সালফারযুক্ত কয়লা ব্যবহার করা হচ্ছে।