নবীগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ নবীগঞ্জ উপজেলার দেবপাড়া ইউনিয়নের রুস্তমপুর টোল প্লাজায় চলন্ত মোটর সাইকেল থেকে ফেলে জাহাঙ্গীর মিয়া (৪৫) নামে এক ডাকাতি মামলার বাদীকে কুপিয়ে ক্ষতবিক্ষত করেছে মামলার আসামী ও তার লোকজন। সোমবার রাত ১১টার দিকে গুরুতর আহত জাহাঙ্গীর মিয়ার (৪৫) অবস্থা আশংকাজনক বলে জানান তার পরিবার। জাহাঙ্গীর মিয়া উপজেলার দেবপাড়া ইউনিয়নের ফুটারচর গ্রামের মৃত রাজা মনির পুত্র।
সূত্র জানায়, গত বছর দেবপাড়া ইউনিয়নের ফুটারচর গ্রামের জাহাঙ্গীর মিয়ার ভাতিজা লন্ডন প্রবাসী কামাল মিয়ার বাড়ি ছবির ভিলায় ডাকাতি সংঘটিত হয়। ডাকাতির ঘটনায় লন্ডন প্রবাসী কামাল মিয়ার চাচা জাহাঙ্গীর মিয়া বাদী হয়ে আল-আমিনসহ কয়েকজনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর থেকে আল-আমিন পলাতক ছিল। এ মামলায় বেশ কয়েকজন আসামী গ্রেফতার হয় এবং ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিতে আল-আমিন ডাকাতির ঘটনার সাথে জড়িত ছিল বলে আদালতে স্বীকারোক্তি দেয় গ্রেফতারকৃত আসামীরা। ডাকাতির ঘটনায় আল-আমিনের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ইস্যু করেন আদালত। আল-আমিন দেবপাড়া ইউনিয়নের রুস্তমপুর গ্রামের কনর মিয়ার পুত্র।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৮ সেপ্টেম্বর রাত ৯টার দিকে ডাকাতি মামলার বাদী জাহাঙ্গীর মোটর সাইকেলযোগে আউশকান্দি যাওয়ার পথে রুস্তমপুর টোল প্লাজায় পৌঁছামাত্র আসামী আল-আমিনসহ তার লোকজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে চলন্ত মোটর সাইকেল থেকে ফেলে জাহাঙ্গীর মিয়াকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে। পরে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। এসময় রক্তাক্ত জাহাঙ্গীর মিয়াকে উদ্ধার করে প্রথমে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি দেখে রাতেই জাহাঙ্গীরকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
গত রবিবার ভোররাতে গোপলার বাজার তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ কাওছার আলমের নেতৃত্বে একদল পুলিশ মৌলভীবাজার সদরের কুসুমবাগ এলাকায় অভিযান চালিয়ে ডাকাতি মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী আল-আমিনকে গ্রেফতার করে। পরে তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।
এ ব্যাপারে গোপলার বাজার তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ কাওছার আলম বলেন, ডাকাতি মামলার বাদী জাহাঙ্গীর মিয়ার উপর হামলার বিষয়টি জেনেছি। এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা দায়ের হয়নি। রুস্তমপুর টোল প্লাজার সিসি-টিভির ফুটেজ ও স্থানীয় লোকজন মাধ্যমে জেনেছি হামলার ঘটনার সাথে ডাকাতি মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী আল-আমিনসহ কয়েকজন জড়িত। আল-আমিন এতদিন এলাকায় ছিল না। শনিবারই এলাকায় আসে। তাৎক্ষণিক ডাকাতি মামলার পলাতক আসামী আল-আমিনকে মৌলভীবাজার থেকে আমরা গ্রেফতার করি। হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হলে জড়িতদের বিরুদ্ধে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।