হবিগঞ্জ পৌরসভার করমেলায় এমপি আবু জাহির

দু’দিনে আদায় হয়েছে ৪১ লাখ ৩১ হাজার টাকা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আমি পৌরপরিষদকে পরামর্শ দিয়েছি যাতে পৌরবাসীর উপর করের বোঝা চাপানো না হয়। পৌরকর বৃদ্ধি না করে করের পরিধি বাড়িয়ে কর আদায় বৃদ্ধি করা যায়। হবিগঞ্জ পৌরসভার দুদিনব্যাপী পানির বিল ও পৌরকর মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি অ্যাডভোকেট মোঃ আবু জাহির একথা বলেন। তিনি বলেন পৌরসভার মেয়র মিজানুর রহমান মিজান ও তাঁর পরিষদ পৌরবাসীর পৌরকর বৃদ্ধি করেনি বলে তাদেরকে অভিনন্দন জানাই। ইতিপূর্বে হবিগঞ্জে কোনদিন কোন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী আসেননি। মুলত হবিগঞ্জ পৌরসভার উন্নয়নকে তরান্বিত করার জন্য আমরা স্থানীয় সরকার মন্ত্রীকে নিয়ে এসেছি। এতে করে ভবিষ্যতেও হবিগঞ্জ পৌরসভায় ব্যাপক উন্নয়ন কাজ পরিচালিত হবে। ইতিমধ্যে হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র ও তার পরিষদ হবিগঞ্জ পৌরসভাকে পরিচ্ছন্ন ও আবর্জনামুক্ত করতে ব্যাপকভাবে কাজ শুরু করেছেন। সাথে সাথে বিকল্প ভূমিতে হবিগঞ্জ পৌরসভার ডাম্পিং স্পট বাস্তবায়নের জন্য কাজ হচ্ছে। ডাম্পিং স্পট বাস্তবায়ন হলে হবিগঞ্জ শহর আরো পরিচ্ছন্ন শহরে রূপান্তরিত হবে। হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় ইতিমধ্যে বাইপাস সড়ক ও পুরাতন খোয়াই নদীতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু হয়েছে। এর ফলে হবিগঞ্জের জলাবদ্ধতা নিরসন হবে। এই করমেলার মধ্য দিয়ে আমি হবিগঞ্জ পৌরবাসীর প্রতি অনুরোধ জানাতে চাই যে, আপনারা যথাসময়ে পৌরকর পরিশোধ করুন। কারণ পৌরকর পরিশোধে হবিগঞ্জ শহরের উন্নয়ন ছাড়াও উন্নয়নকাজে সরকারি ও দাতাসংস্থার বরাদ্দপ্রাপ্তি তরান্বিত হবে।
সভাপতির বক্তব্যে মেয়র মিজানুর রহমান মিজান বলেন, যে প্রত্যাশা নিয়ে আপনারা আমাকে ভোট দিয়েছেন সে প্রত্যাশা আমি পূরণ করতে চাই। আপনারা দেখেছেন ইতিমধ্যে আমি হবিগঞ্জ শহরকে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করতে দিনে রাত কাজ শুরু করে দিয়েছি। বিভিন্ন এলাকায় ডাস্টবিন দিয়েছি। ভবিষ্যতে আরো দেবো। আমরা স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর কাছ থেকে হবিগঞ্জ পৌরসভার উন্নয়নের আশ্বাস পেয়েছি। সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মোঃ আবু জাহির আমাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। করমেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কর নিরূপন ও আদায় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির আহবায়ক শেখ মোঃ উম্মেদ আলী শামীম। অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন পৌরকাউন্সিলর মোহাম্মদ জুনায়েদ মিয়া, গৌতম কুমার রায়, মোঃ আব্দুল আউয়াল মজনু, মোঃ আলমগীর, পিয়ারা বেগম ও অর্পনা পাল। সভা শেষে করদাতাদের হাতে পৌরসভার কর সম্মাননা সনদ ও গাছের চারা তুলে দেন প্রধান অতিথি অ্যাডভোকেট মোঃ আবু জাহির এমপি। করমেলার দ্বিতীয় দিনে পৌরকর আদায় হয়েছে প্রায় ১৯ লাখ টাকা। পানির বিল আদায় হয়েছে ৭৮ হাজার টাকা। দুইদিনে পৌরকর আদায় হয়েছে ৩৯ লাখ টাকা ও পানির বিল আদায় হয়েছে ২ লাখ ৩১ হাজার টাকা। করমেলায় দু’দিনে মোট আদায় হয়েছে ৪১ লাখ ৩১ হাজার টাকা।