কয়েকদিনের মধ্যে জবাব দিবেন মেয়র ছালেক ॥ জবাবে থাকবে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের অনুমতি ব্যতীত কোন ওয়ার্ড ইউনিয়ন পৗরসভা থানা উপজেলা ও জেলা কমিটি বিলুপ্ত করা যাবে না মর্মে মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের স্বাক্ষরিত পত্রের নির্দেশনা ॥ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল বললেন এ ধরণের কোন নির্দেশনা মন্ত্রী দেননি।

স্টাফ রিপোর্টার ॥ পাঁচ দিন পর কারণ দর্শানো ও শায়েস্তাগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি পদ থেকে অব্যাহতির চিঠি পেয়েছেন শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার মেয়র ছালেক মিয়া। দুয়েক দিনের মধ্যে তিনি চিঠির জবাব দেবেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক যোগাযোগ ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের স্বাক্ষরিত ২০১৭ সালে জেলা, মহানগর, উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক বরাবর প্রেরিত এক নির্দেশনা চিঠি গতকাল রবিবার ফেসবুকে আপলোড করে আবার আলোচনায় আসেন মেয়র ছালেক মিয়া। ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের অনুমতি ব্যতীত কোন ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, পৌরসভা, থানা, উপজেলা ও জেলা কমিটি বিলুপ্ত করা যাবে না। অথচ আমরা বিস্ময়ের সাথে লক্ষ্য করেছি যে, ইতোমধ্যে কোন কোন জেলায় তাদের অধিনস্থ ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, পৌরসভা, থানা, উপজেলা ও জেলা কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে এবং কোন কোন এলাকায় আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। যা দলের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত পরিপন্থী। উল্লেখ্য যে, দলীয় সিদ্ধান্ত ভঙ্গের কারণে যদি কাউকে বহিস্কার প্রয়োজন হয়, তাহলে বিষয়টি কেন্দ্রীয় দপ্তরে পাঠাতে হবে। কাউকে বহিস্কার করার এখতিয়ার একমাত্র কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের। ওই চিঠি মেয়র ছালেক মিয়া ফেসবুকে আপলোড করার পর বিভিন্নজন নানা কমেন্ট করেন। এ নিয়ে হবিগঞ্জের আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে শুরু হয় আলোচনা।
এ ব্যাপারে মেয়র ছালেক মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, কারণ দর্শানোর ও সভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি দেয়ার চিঠি পেয়েছেন। চিঠির জবাবের সাথে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপির নির্দেশনার চিঠি সংযুক্ত করে দেবেন। ফেসবুকে আপলোডকৃত চিঠিটি ২০১৭ সালের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন- চিঠি ২০১৭ সালের হলেও ওই নিদের্শনা এখনও বহাল রয়েছে। কবে নাগাদ চিঠির জবাব দিতে পারেন, এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন- দুয়েক দিনের মধ্যে হবিগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবর আমার জবাবের চিঠি প্রেরণ করবো।
এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ তালুকদার ইকবাল জানান, আমি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপির সাথে দেখা করেছি, তিনি আমাকে জানিয়েছেন এ ধরণের কোন নির্দেশনা তিনি দেননি। আর যে চিঠিটি ফেসবুকে আপলোড করা হয়েছে, তা ২০১৭ সালের।
উল্লেখ্য, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে হবিগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল আহাদ ফারুক ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ ইকবাল গত মঙ্গলবার মেয়র ছালেক মিয়াকে কারণ দর্শানোর নোটিশ ও সভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করেন। ওই অব্যাহতি প্রদানের পত্রটি সাথে সাথেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আপলোড করা হয়। পরবর্তীতে বিভিন্ন পত্রিকায় এ ব্যাপারে সংবাদ প্রকাশ করা হয়। এছাড়াও মেয়র ছালেক মিয়া কারণ দর্শানো ও অব্যাহতি প্রসঙ্গ নিয়ে ফেসবুক লাইভে আসেন। ফেসবুক লাইভে তার বক্তব্য আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে সমালোচনার ঝড় তুলে।