স্টাফ রিপোর্টার ॥ স্কুল-কলেজ ফাঁকি দিয়ে বান্ধবীদেরকে নিয়ে নতুন স্টেডিয়াম ও বৃন্দাবন কলেজ এলাকায় আড্ডা দেয়ার অভিযোগে ১০ শিক্ষার্থীকে আটক করেছে সদর থানা পুলিশ। এ সময় তাদের স্কুলব্যাগ তল্লাশী করে স্কুল ড্রেস ও বই খাতা উদ্ধার করা হয়। মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় সদর থানার ওসি মোঃ মাসুক আলীর তত্ত্বাবধানে এসআই সাইদুর ও আতাউর রহমানের নেতেৃত্বে একদল পুলিশ নতুন স্টেডিয়াম, বৃন্দাবন কলেজ ও উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে। আটককৃতরা হলো- শহরের সিনেমা হল রোড এলাকার শংকর দাসের পুত্র কলেজ ছাত্র রিমন দাস (১৮), মুসলিম কোয়ার্টার এলাকার বিকাশ পালের পুত্র স্কুলছাত্র বাপ্পী পাল (১৬), ২নং পুল এলাকার আব্দুল্লাহ মিয়ার পুত্র শিহাব (১৮), জালালাবাদ এলাকার সোনা মিয়ার পুত্র টিটন মিয়া (১৮), মোহনপুর এলাকার রিপন মিয়ার পুত্র শুভ মিয়া (১৬), সুলতান মাহমুদপুর এলাকার লিটন মিয়ার পুত্র নুরুজ্জামান (১৮), আছকির মিয়ার পুত্র জিসান (১৮), আলাপুর গ্রামের আব্দুল আলীর পুত্র জাকারিয়া চৌধুরী (১৭), বানিয়াচং বড়বাজার এলাকার মাহমুদ হোসেনের পুত্র আশরাফুল (১৮) ও আজমিরীগঞ্জের কাকাইলছেও গ্রামের মৃত হরিধন দাসের পুত্র অনুকুল দাস (২০)। আটককৃতরা সকলেই ৯ম-১০ম শ্রেণীর ও এইচএসসি ১ম বর্ষের ছাত্র। খবর পেয়ে রাত ৯টায় তাদের অভিভাবকরা সদর থানার ওসির কাছে গিয়ে জানান, সবাই স্কুল-কলেজের কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়েছে। কিন্তু স্কুল ফাঁকি দিয়ে তারা এসব করে তা অভিভাবকদের জানা ছিল না।
অপরদিকে, ওসি মাসুক আলী জেকে এন্ড এইচকে এবং টেকনিক্যাল স্কুল কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে জানতে পারেন জিসান ও শিহাব স্কুলে যায়নি। অথচ তারা স্কুলের কথা বলে বাসাবাড়ি থেকে বের হয়েছিল। রাতে অভিভাবক ও আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বাপ্পী পাল ও রিমন দাসের মাথার চুল মেয়েদের মত লম্বা হওয়ায় পুলিশ প্রহরায় অভিভাবকরা সেলুনে নিয়ে চুল খাটো করে নেন। পরে তাদেরকে ১ম বারের মত সতর্ক করে দিয়ে মুচলেকা রেখে ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
আটককৃতদের বিষয়ে ওসি মোঃ মাসুক আলী মন্তব্য করেন- এরা সবাই ছাত্র। কেহ ৯ম, ১০ম শ্রেণি, কেহ নতুন কলেজে ভর্তি হয়েছে। কিন্তু স্কুল কলেজের সময়ে সকাল ১১টায় ক্লাস ফাঁকি দিয়ে নতুন স্টেডিয়াম এলাকা, গার্লস স্কুলের সম্মুখে ঘোরাঘুরি আর আড্ডায় মত্ত। সদর থানা টিম ঝটিকা অভিযান করে তাদেরকে গ্রেফতার করে। স্কুল ও কলেজে খবর নিয়ে জানা যায়, তারা প্রায়ই অনুপস্থিত থাকে। কারো কারো মাথার চুল অস্বাভাবিক লম্বা। সারাদিন থানায় রেখে রাতে অভিভাবকদের অনুরোধে শর্তসাপেক্ষে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতিক্রমে জিম্মায় দেওয়া হয়। এরাই আগামী দিনের ভবিষ্যত। তদারকির অভাবে কোনভাবেই যেন ছিটকে না পড়ে। অভিভাবক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষসহ সবাইকে আরো সচেতন হওয়া প্রয়োজন।