স্টাফ রিপোর্টার ॥ চুনারুঘাটে প্রেমের টানে পালিয়ে যাওয়া মাদ্রাসা ছাত্রীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে তার কথিত প্রেমিককে আটক করা সম্ভব হয়নি। বৃহস্পতিবার বিকেলে ডাক্তারী পরীক্ষা শেষে আদালতে পাঠালে সে পিতার জিম্মায় না গিয়ে তার প্রেমিকের জিম্মায় যেতে চাইলে সে অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় আদালত তাকে নিরাপত্তা হেফাজতে প্রেরণ করেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, চুনারুঘাট উপজেলার পাইকপাড়া ইউনিয়নের দৌলতখাআবাদ গ্রামের মোঃ সফিক মিয়ার কন্যা ও পাইকপাড়া আজগর আহমদ দাখিল মাদ্রাসার দশম শ্রেণীর ছাত্রী লিপি আক্তারের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে একই উপজেলার ননীগাঁও গ্রামের তৈয়ব আলীর পুত্র সুমন মিয়ার (২৫) সাথে। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে চলে মন দেয়া-নেয়া। বিষয়টি আঁচ করতে পারে লিপির পরিবার কিন্তু সুমন বিবাহিত হয়ায় এ সম্পর্ক মেনে নেয়নি তারা। কিন্তু সুমন ধনাঢ্য হওয়ায় লিপি সম্পর্ক চালিয়ে যায়। গত ৫ সেপ্টেম্বর সকালে মাদ্রাসায় যাওয়ার কথা বলে লিপি সুমনের সাথে অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমায় এবং হবিগঞ্জ আদালতে এফিডেভিটের মাধ্যমে বিয়ে করে ঘর সংসার শুরু করে বলে লিপি জানায়।
লিপিকে হারিয়ে তার পিতা সফিক মিয়া সুমনকে প্রধান আসামী করে ৪ জনের বিরুদ্ধে একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রেক্ষিতে চুনারুঘাট থানার এসআই হাবিবুর রহমানসহ একদল পুলিশ চুনারুঘাট পৌর এলাকার ননীগাঁও থেকে গত বুধবার লিপিকে উদ্ধার করলেও সুমন পালিয়ে যায়। বৃহস্পতিবার লিপিকে আদালতে প্রেরণ করা হয়।