স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ শহরের পুরাতন খোয়াই নদীতে দুই শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। প্রতিদিন ভেঙ্গে ফেলা হচ্ছে বড় বড় বিল্ডিং। গতকাল ৪র্থ দিনে শায়েস্তানগর বাগান বাড়ি এলাকার অবৈধ স্থাপনাগুলো উচ্ছেদ করা হয়েছে। দখলদারদের অনেকেই নিজেরা নিজেদের স্থাপনা ভেঙ্গে ফেলছেন। অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছেন জেলা প্রশাসক মাহমুদুল কবীর মুরাদ। উচ্ছেদ অভিযান শহরের শত শত মানুষ ব্যাপক আগ্রহ নিয়ে দিনভর দেখছেন।
হবিগঞ্জ শহরের বুক চিরে বয়ে যাওয়া খোয়াই নদী এক সময় জেলা শহরের দুঃখের অন্যতম কারণ ছিল। নদীতে সামান্য পানি এলেই ভেসে যেতো পুরো শহর। ডুবে যেতো মানুষের বাড়িঘর। আবার বড় বড় নৌকাও চলতো এ নদী দিয়ে। শহরবাসীর এ দুঃখ লাঘবের উদ্দেশ্যে ১৯৭৬ সাল থেকে ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত দুই দফায় ৫ কিলোমিটার এলাকা নদীর গতিপথ পরিবর্তন করা হয়। আর তখন থেকেই দফায় দফায় নদীটি দখল করে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ। কিন্তু নদীটি উদ্ধারের দাবিতে জেলা শহরবাসী বিভিন্ন সময় আন্দোলন করলেও কাজে কাজ কিছুই হয়নি। কয়েকবার শুধু নদীর সীমানা নির্ধারণের মধ্যেই তা সীমাবদ্ধ ছিল। মাঝে মাঝে শুধু দু’য়েকটি স্থাপনা উচ্ছেদ হয়েছে। কিন্তু সাথে সাথেই সেখানে আবার অন্যদল এসে দখল করে নিয়েছে। বিশাল স্থাপনা নির্মাণ করে কেউ বসবাস করছে, কেউ ভাড়া গুণছে, আবার কেউ তা বিক্রি করে দিয়েছে। অবশেষে জেলা প্রশাসন শহরবাসীর দীর্ঘদিনের প্রতিক্ষিত খোয়াই নদীটি উদ্ধারে উদ্যোগ নেয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী সোমবার থেকে উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু হয়। ভেঙ্গে ফেলা হচ্ছে বিশাল বিশাল অট্টালিকা।