হামলাকারী সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মুছা ধরা-ছোয়ার বাইরে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নবীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) উত্তম কুমার দাশ এবং এসআই ফখরুজ্জামানকে কুপিয়ে জখমের মামলায় সন্ত্রাসী শাহ সোহান আহমেদ মুছা’র মা-বোন ও ভগ্নিপতির পর এবার গ্রেফতার হয়েছে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি হাবিবুর রহমান কাশেম।
পুলিশ সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে থানার ওসি মোঃ ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে এসআই শামসুল ইসলামসহ একদল পুলিশ অভিযান চালিয়ে কাশেমকে বানিয়াচং বড় বাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করেন। রাত সাড়ে ১২টায় নবীগঞ্জ থানার ওসি মোঃ ইকবাল হোসেন গ্রেফতারের বিষয়টি দৈনিক হবিগঞ্জের মুখকে নিশ্চিত করেছেন।
ওসি ইকবাল হোসেন জানান, দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় দায়ের করা মামলার অন্যতম আসামী হাবিবুর রহমান কাশেম। এছাড়া সন্ত্রাসী মুছা ও তার অন্যান্য সহযোগীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান ওসি।
পুলিশ জানায়- বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পৌর এলাকায় তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি শাহ সোহান আহমেদ মুসাকে ধরতে শহরের সালামতপুর এলাকায় ব্র্যাক অফিসের কাছে তার দোকান অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় ওসি (তদন্ত) উত্তম কুমার দাশ এবং এসআই ফখরুজ্জামানকে কুপিয়ে পালিয়ে যায় মুছা, তার ভাইসহ অন্যান্য সহযোগীরা। পরবর্তীতে ওসি উত্তম কুমারকে সিলেটে এবং এসআই ফখরুজ্জামানকে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। ঘটনার পরদিন নবীগঞ্জ থানার এসআই ফিরোজ আহমেদ ১৫ জনকে আসামী করে নবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে মুছার মা সামছুন্নাহার (৫০), বোন মৌসুমী আক্তার (২৬), শাম্মী আক্তার (২২) ও তন্নী আক্তারকে (১৯) গ্রেফতারের পর কারাগারে প্রেরণ করে পুলিশ। গত বুধবার মুসার ভগ্নিপতি মামলার অন্যতম আসামী কামাল হোসেনও গ্রেফতার করে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
উল্লেখ্য, একের পর এক অপরাধের পর এবার পুলিশ কর্মকর্তাকে কুপিয়ে সারা দেশে আলোচনায় এসেছে পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী সোহান আহমেদ মুছা। দু’টি হত্যাকান্ডের সাথে সম্পৃক্ততার মামলা রয়েছে। রয়েছে ডাকাতি, মাদক, অপহরণসহ নানা অভিযোগ। ৯টি মামলা চলমান থাকার পরও এমনকি পুলিশ কোপানোর ১ সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তাকে খুঁজে পাচ্ছে না। এছাড়াও পলাতক রয়েছে মুছার ভাইসহ পুলিশের উপর হামলাকারী মুছার অন্যতম সহযোগীরা।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, মুছার উত্থানের পেছনে রয়েছে রাজনৈতিক ছত্রছায়া। যদিও তা অস্বীকার করছেন সরকার দলীয় নেতারা।