স্টাফ রিপোর্টার, বানিয়াচং থেকে ॥ হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার দৌলতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের আঙ্গিনায় থাকা গাছ কেটে ব্যক্তিগত সবজি বাগান করেছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক জামাল উদ্দিন। এর প্রতিকার চেয়ে হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেন একই স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র মাহবুবুর রহমান সুমন। অভিযোগের অনুলিপি দেন বন ও পরিবেশ বিভাগে। বৃক্ষ রোপনের আগে প্রাক্তন ছাত্রদের নিজস্ব অর্থায়নে স্কুলে শহীদ মিনার স্থাপন করে দেন। গাছের চারা নিধন করে ব্যক্তিগত সবজি চাষের ঘটনায় প্রাক্তন ছাত্ররা প্রধান শিক্ষকের ওপর ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
অভিযোগে বলা হয়, স্কুলের কয়েকজন প্রাক্তন ছাত্র মিলে ২০১৭ সালের অক্টোবর মাসে দেশি-বিদেশী বিভিন্ন প্রজাতির দেড়শ গাছ রোপন করেন স্কুলের আঙ্গিনায়। প্রধান শিক্ষককের অনুমতি সাপেক্ষে স্কুলের প্রধান ফটক ও মসজিদের পাশের জায়গায় প্রাক্তন ছাত্ররা গাছের চারাগুলো লাগান। বিভিন্ন সময় তারা চারাগুলো পরিচর্যাও করেন। সম্প্রতি প্রাক্তন ছাত্ররা চারাগুলো দেখতে স্কুলে যান। তখন দেখতে পান তাদের লাগানো চারা গাছগুলো নিধন করে সেখানে সবজির চাষ করা হয়েছে। জানতে পারেন, প্রধান শিক্ষক জামাল উদ্দিন ও স্কুল কমিটির সভাপতি লুৎফুর রহমান গাছের চারাগুলো কেটে লাউ, ঝিংগা, সিম পুঁইসাক, দেঁঢ়শ চাষ করে দুজন ভোগ করছেন। অসংখ্য গাছের চারা নিধন করে দুজনের ব্যক্তিগত সবজি চাষে প্রাক্তন ছাত্রদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার সৃষ্টি হয়েছে। বৃক্ষ রোপনের আগে প্রাক্তন ছাত্রদের নিজস্ব অর্থায়নে স্কুলে একটি শহীদ মিনার স্থাপন করে দেয়া হয়।
এ প্রসঙ্গে স্কুলের প্রধান শিক্ষক জামাল উদ্দিন বলেন, আমার ব্যক্তিগত উদ্যোগে নয়, স্কুল কমিটির সিদ্ধান্তে এখানে সবজি বাগান করা হয়েছে। এই বাগান তৈরিতে এনজিও ব্র্যাকেরও সাপোর্ট ছিল। বছর দেড়েক আগে প্রাক্তন ছাত্রারা কাউকে না জানিয়ে স্কুলে কিছু গাছ রোপন করেছিলেন। তখনকার সময়ে স্কুলের সীমানা প্রাচীর না থাকায় গরু-ছাগল গাছগুলো নষ্ট করে ফেলেছে।
ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি লুৎফুর রহমান বলেন, স্কুলের বর্তমান ছাত্রছাত্রীরা সবজি বাগান করেছে। প্রাক্তন ছাত্ররা যে ক’টি ফুলের চারা লাগিয়েছিলেন এর মধ্যে ২-৩ টি চারা এখনও আছে। বাকী চারাগুলি গরু-ছাগল আগেই খেয়ে ফেলেছে।