বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধনকালে এমপি মজিদ খান

স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ-২ (বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোঃ আব্দুল মজিদ খান বলেছেন, আগে নতুন বিদ্যুত সংযোগের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে বার বার ধর্ণা দেয়া লাগতো। এখন সময় পরিবর্তন হয়েছে বিদ্যুত বিভাগের কর্মকর্তারা নতুন সংযোগ দেয়ার জন্য আপনাদেরকে খুঁজবে। শুধু বিদ্যুত সেক্টরে নয় প্রত্যেকটি ক্ষেত্রেই অভাবনীয় উন্নয়ন হয়েছে। বিদ্যুত দিয়েছে সরকার আর সুফল ভোগ করবে জনগণ। কিন্তু নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুত সুবিধা পেতে হলে গ্রাহকদের আরও সাশ্রয়ী হতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে প্রয়োজন ছাড়া যাতে কোন লাইট বা ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি চালু না থাকে। তাহলেই জননেত্রী শেখ হাসিনার ঘরে ঘরে বিদ্যুত পৌঁছে দেয়ার মহতী উদ্যোগ সফল হবে।
রবিবার বানিয়াচং উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের তেলঘরি গ্রামের ২ লাখ টাকা ৫৮ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মিত ঘর উপকারভোগী রজনী বৈষ্ণবের হাতে চাবি হস্তান্তর এবং ২ কোটি ৮৮ লাখ টাকা ব্যয়ে দৌলতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে নতুন একাডেমিক ভবন নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও ১৭ লাখ টাকা ব্যয়ে দৌলতপুর-নুরপুর গ্রামে ৩০টি পরিবারে বিদ্যুতায়ন উদ্বোধন উদ্বোধন শেষে দৌলতপুর চারগাও মাদ্রাসা মাঠে দৌলতপুর উচ্চ বিদ্যালয় উদ্যোগে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়নের কথা মুখে বলে শেষ করা সম্ভব নয়। দেশের অধিকাংশ মানুষ সচেতন, ডিজিটাল বাংলাদেশের সবার হাতে হাতে এখন ইন্টারনেট। আমি উন্নয়নের কথা বলে গেলাম বা উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে গেলাম যার বাস্তবায়ন করলাম না এমনটি এখন আর সম্ভব নয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার গঠন করার সাথে সাথেই ঘোষণা দিয়েছিলেন বাংলাদেশের প্রত্যেক ঘরে ঘরে বিদ্যুতের আলো পৌছে দেয়া হবে। সেই অঙ্গীকার বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় আজ আমরা বিদ্যুতায়নের ক্ষেত্রে এতদূর এগুতে পেরেছি। বিদ্যুত উৎপাদনের সাথে সাথে মানুষের চাহিদাও বাড়বে এ কথা মাথায় রেখে ৩ হাজার মেগাওয়াট থেকে আমরা ১৬ হাজার মেগাওয়াটে নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছি। তাই আমি বলবো নৌকার সাথে থাকুন বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখুন। তাছাড়া বর্তমান সরকারের আমলে বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জের যে উন্নয়ন হয়েছে বিগত ৪০ বছরেও কোন সরকার তা করতে পারেনি। শেখ হাসিনার উদ্যোগ ঘরে ঘরে বিদ্যুত। কৃষিতে বিদ্যুতের ব্যবহার সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করা হয়েছে।
সভায় দৌলতপুর ইউনিয়নের তেলঘরি গ্রামের বৃদ্ধ রজনী বৈষ্ণব বলেন, কোনও দিন পাকা ঘরে থাকার স্বপ্নও দেখিনি। বর্তমান সরকারের মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় পাকা ঘর করে দিচ্ছে। নিজের সামান্য জমিতে সরকার ঘর করে দেওয়ায় সরকারকে তিনি ধন্যবাদ জানান। মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় আমার সামান্য জমিতে নতুন বাড়ি তৈরি হচ্ছে, শেষ বয়সে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ভালোভাবে দিন কাটাতে পারবো।
দৌলতপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ লুৎফুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কাশেম চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান ফারুক আমীন, উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক তজম্মুল হক চৌধুরী, বানিয়াচং পল্লী বিদ্যুত জোনাল অফিসের এজিএম, খাগাউড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহ শওকত আরেফিন সেলিম প্রমুখ।