স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ও হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আলহাজ্ব জি কে গউছ বলেছেন- পুলিশের ব্যারিকেড সৃষ্টি করে বিএনপির আন্দোলন দমিয়ে রাখতে পারবেন না। মামলা-হামলার ভয় উপেক্ষা করেই বিএনপি রাজপথে আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে। কোন তন্ত্রমন্ত্র দিয়ে বিএনপিকে ধ্বংস করা যাবে না। তিনি রবিবার বিকালে বিএনপির ৪১ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে পৌর বিএনপির র্যালি শেষে পথসভায় এসব কথা বলেন।
এর আগে শহরের শায়েস্তানগরস্থ বিএনপির কার্যালয় থেকে একটি বিশাল র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি চিড়াখানা সড়কের মুখে পৌঁছলে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে থামিয়ে দেয়। এ সময় পুলিশের সাথে বিএনপি নেতা আলহাজ্ব জি কে গউছের বাকবিতন্ডা হয়। পরে সেখানেই পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় জি কে গউছ বলেন, বিএনপি বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল। এই দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান অত্যন্ত কঠিন সময়ে দেশের দায়িত্ব নিয়েছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত এ দেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দিয়ে আওয়ামী লীগ একদলীয় বাকশালী শাসন কায়েম করেছিল। ঠিক সেই সময়ে শহীদ জিয়াউর রহমান দেশের দায়িত্ব নিয়ে দেশকে অরাজকতা থেকে মুক্ত করেছিলেন, দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র চালু করেছিলেন। সাংবাদিকদের কলমের স্বাধীনতা দিয়েছিলেন, ৪টি পত্রিকা থেকে হাজার হাজার পত্রিকা চালুর সুযোগ করে দিয়েছিলেন, মানুষের বাক-স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিয়েছিলেন, দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
তিনি বলেন, ১/১১ এর সময় মইনুদ্দিন-ফখরুদ্দিনের পৃষ্ঠপোষকতায় আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গিয়ে দেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। দেশে আবারও একদলীয় শাসন কায়েম করেছে, মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে, বাক-স্বাধীনতা হরণ করেছে, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা খর্ব করেছে, দেশের সকল প্রতিষ্ঠান দলীয়করণ করেছে। এই অবস্থা থেকে উত্তোরণের জন্য বিএনপির চেয়াপার্সন ও সাবেক ৩ বারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া সংগ্রাম করছেন। খালেদা জিয়ার মুক্তি মানেই দেশের গণতন্ত্রের মুক্তি। খালেদা জিয়ার মুক্তির মাধ্যমেই মানুষের ভোটাধিকার ফিরে আসবে।
সাবেক ৩ বারের মেয়র জি কে গউছ বলেন, বিএনপি ইচ্ছে করলেই পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙ্গে মিছিল-সমাবেশ করতে পারে, সেই শক্তি বিএনপির রয়েছে। কিন্তু বিএনপি চরম ধৈর্য্যরে পরিচয় দিচ্ছে। তবে এর মানে এই নয় যে বিএনপি ঘরে বসে থাকবে, অতিশীঘ্রই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনের কর্মসূচি আসবে। আন্দোলনের মাধ্যমেই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা হবে।
হবিগঞ্জ পৌর বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম মোস্তফা রফিকের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল ইসলাম নানু’র পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ মিজানুর রহমান চৌধুরী, অ্যাডভোকেট হাজী নুরুল ইসলাম ও হাজী এনামুল হক, জেলা শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এস এম বজলুর রহমান, জেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমান আউয়াল, জেলা যুবদলের সভাপতি মিয়া মোঃ ইলিয়াছ, সাধারণ সম্পাদক জালাল আহমেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সফিকুর রহমান সিতু, জেলা মৎস্যজীবী দলের সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদ, জেলা মহিলাদলের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফাতেমা ইয়াসমিন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জহিরুল হক শরীফ, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মুশফিক আহমেদ, পৌর বিএনপি নেতা তাজুল ইসলাম চৌধুরী ফরিদ, জেলা জাসাসের সভাপতি মিজানুর রহমান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক শাহ ফারুক আহমেদ, আব্দুল কাইয়ুম, সোহেল এ চৌধুরী, পৌর বিএনপি নেতা নাজমুল হোসেন বাচ্চু, এসএম আওয়াল, মর্তুজা আহমেদ রিপন, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি এমদাদুল হক ইমরান, সিনিয়র সহ সভাপতি জিললুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক রুবেল আহমেদ চৌধুরী, আরিফে রাব্বানী টিটু, হাফিজুর রহমান, শাহ রাজীব আহমেদ রিংগন প্রমুখ।
হবিগঞ্জে বিএনপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে জি কে গউছ
© স্বত্ব দৈনিক হবিগঞ্জের মুখ ২০১৯
ওয়েবসাইটটি তৈরী করেছে ThemesBazar.Com