মেয়েটির চিৎকার শুনে টহল পুলিশ এগিয়ে গিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার ও সিএনজি অটোরিকশা চালক রশিদকে আটক করে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ শহরের কামড়াপুর থেকে সিএনজি অটোরিকশায় তুলে নিয়ে প্রাণ কোম্পানির এক কিশোরী শ্রমিককে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় লম্পট সিএনজি অটোরিকশা চালক আব্দুর রশিদকে (২৫) আটক করেছে পুলিশ। সেই সাথে ধর্ষিতাকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সূত্র জানায়, বানিয়াচং উপজেলার সুজাতপুর ইউনিয়নের বাল্লা গাজীপুর গ্রামের তনজু মিয়ার সপ্তদর্শী কিশোরী কন্যা দীর্ঘদিন ধরে অলিপুরে প্রাণ কোম্পানিতে শ্রমিক হিসেবে কাজ করছে। ঈদের ছুটিতে বাড়ি আসার পর সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। সম্প্রতি সে সুস্থ হয়ে কাজে যোগদানের প্রস্তুতি নেয়। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওই কিশোরী বাড়ি থেকে হবিগঞ্জ শহরে এসে কামড়াপুর ব্রিজের নিকট অলিপুর যাওয়ার জন্য সিএনজি অটোরিকশা খোঁজে। এক পর্যায়ে সদর উপজেলার নিতাইরচক গ্রামের আব্দুস সামাদের পুত্র সিএনজি চালক আব্দুর রশিদের সাথে তার দেখা হয়। তখন ওই কিশোরী ৫০ টাকার বিনিময়ে অলিপুরে যাওয়ার জন্য সিএনজিতে উঠে। উঠার পর পোদ্দার বাড়ি থেকে ধুলিয়াখাল বাইপাস যাওয়ার পর নির্জন স্থানে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করা হয়। ওইদিন রাত ১১টায় পাইকপাড়া বাইপাসে পুলিশ টহলকালে কিশোরীর চিৎকার শুনে সিএনজি অটোরিকশাসহ আব্দুর রশিদকে আটক এবং মেয়েটিকে উদ্ধার করে পুলিশ প্রহরায় সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই কিশোরীর মা পারভীন আক্তার জানান, তার কন্যাকে রশিদসহ আরো দুই যুবক ধর্ষণ করেছে। তিনি খবর শুনে থানায় এসে তার কন্যার অবস্থা আশংকাজনক দেখেন। তিনি অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
হবিগঞ্জ সদর থানার ওসি মোঃ মাসুক আলী জানান, আব্দুর রশিদকে আটক করা হয়েছে। ভিকটিমকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং মামলার প্রস্তুতি চলছে।