স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডাভোকেট মোঃ আবু জাহির এমপি বলেছেন- জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সবার জন্য সমান অধিকার নিশ্চিতের লক্ষ্যে স্বাধীনতার পরপরই এক সুদূর প্রসারী অর্থনৈতিক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিলেন। জাতির পিতার নেতৃত্বে নতুন সরকার যুদ্ধ নিপীড়িত মানুষ বিশেষ করে পল্লীর দরিদ্র জনগোষ্ঠী যাতে প্রয়োজনীয় সহায়তার মাধ্যমে নতুন করে জীবন শুরু করতে পারে সেজন্য ত্রাণ ও পুনর্বাসনকে অগ্রাধিকার দিয়ে আর্থিক নীতি প্রণয়ন করে। দেশের প্রথম বাজেটে কৃষি, শিক্ষা ও সমাজ কল্যাণের পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধা এবং নারী, শিশু ও যুদ্ধে সর্বস্বান্তদের জন্য গৃহনির্মাণে অগ্রাধিকার দেয়া হয়।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে হবিগঞ্জ জেলা যুব মহিলা লীগ আয়োজিত আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এমপি আবু জাহির আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু সব সময় গরীবের পক্ষে কাজ করেছেন। এমনকি ছোট বেলাতেই তিনি তাঁর পিতার ক্ষেতের ফসলের অংশ গরীবদের মাঝে বিতরণ করতেন। তাঁর জীবন পর্যালোচনা করলে দেখা যায়- পাকিস্তান সরকারের বৈষম্যের বিরুদ্ধে সংগ্রাম এবং শোষণ ও দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গড়ার প্রত্যয়ে রাজনীতিতে যোগ দেন তিনি। বাংলাদেশ এখন বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের প্রধানমন্ত্রীও দারিদ্র্য বিমোচন এবং সবার সমনাধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করছেন। এটাই ছিল বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন।
জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি মেহেরুন নেছা মজুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রুবানা হক চৌধুরী জেনির পরিচালনায় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী জমিলা বেগম, সহ সভাপতি আলেয়া জাহির, জেলা যুব মহিলা লীগের সহ সভানেত্রী তাহমিনা আক্তার, ফাতেমাতুজ জোহরা রিনা, খোদেজা আক্তার, সাংগঠনিক সম্পাদক আয়েশা খানম রানী, অ্যাডভোকেট গুলশান আরা ফেন্সী, রহমান আরা লাকী, সাবিনা চৌধুরী, রেবা চৌধুরী, সৈয়দা কুমকুম, শেফা আক্তার, শিরিন আক্তার ঝুমা, শাহ শ্যামলী আক্তার প্রমুখ।
পরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্ট শাহাদাতবরণকারী সকলের আত্মার মাগফিরাত কামনায় মোনাজাত করা হয়। তবারুক বিতরণের মধ্য দিয়ে শোক সভা ও মিলাদ মাহফিলের সমাপ্তি ঘটে।