নবনীতা দাশ হবিগঞ্জের স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিকেজিসি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির বিজ্ঞান শাখার ছাত্রী। স্কুলে ৩য় শ্রেণিতে ভর্তি হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠানে স্কুলের শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়ে পুরস্কার পেয়ে থাকে দেখে সে বেশ অনুপ্রাণিত হয়। সেই অনুপ্রেরণা থেকে সে আস্তে আস্তে জড়িয়ে পড়ে সাংস্কৃতিক অঙ্গনে। সে চিত্রাংকন, মাটির কাজ, নৃত্য ও গান রপ্ত করতে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের শিক্ষকদের দ্বারস্থ হয়। ২০১৭ সালে জাতীয় ত্বকী চিত্রাংকন ও রচনা প্রতিযোগিতায় জাতীয় পর্যায়ে অংশ নিয়ে ‘গ’ বিভাগে সে প্রথম স্থান অর্জন করে। চলতি বছরে বাংলাদেশ শিশু একাডেমী সিলেট আয়োজিত জাতীয় শিশু পুরস্কার প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে বিভাগীয় পর্যায়ে মাটির কাজে
সে প্রথম স্থান অর্জন করে। ২০১৭ সালে সেলিম আল দ্বীন জাতীয় চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে প্রথম স্থান লাভ করে নবনীতা। এছাড়াও ২০১৪ সালে বাংলাদেশ শিশু একাডেমী সিলেট আয়োজিত জাতীয় শিশু পুরস্কার প্রতিযোগিতায় লোক নৃত্যে ২য়, বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে ২০১৭ ও ২০১৮ সালে বাংলাদেশ শিশু একাডেমী হবিগঞ্জ আয়োজিত চিত্র প্রদর্শনী, লোক নৃত্য এবং চিত্রাংকনে ‘খ’ বিভাগে ১ম স্থান লাভ করে। এভাবে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে অর্ধশতাধিক সম্মাননা ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট অর্জন করেছে নবনীতা। তার উল্লেখযোগ্য প্রাপ্তির মধ্যে রয়েছে টয়োটা ড্রিমকার চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা। চলতি বছরে অনুষ্ঠিত হওয়া এ প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে নবনীতা সারা বাংলাদেশ থেকে বাছাই হওয়া সেরা ২০ জনের একজন নির্বাচিত হয়েছে। নির্বাচিতদের ছবি জাপানে পাঠানো হয়েছে। চুড়ান্তভাবে মনোনীত হলে তাদেরকে জাপানে আমন্ত্রণ জানানো হবে। নবনীতা বর্তমানে নিজেকে সাংস্কৃতিক অঙ্গনে আরো পারদর্শী করে নিতে ওস্তাদ তরুণ রায়ের কাছে চিত্রাংকন ও মাটির কাজ, গৌতম আচার্য্য’র কাছে নৃত্য এবং স্বদেশ দাশের কাছে গানের তালিম নিচ্ছে। তার অবসর সময় কাটে চিত্রাংকন ও মাটির কাজ করে। তার প্রিয় ব্যক্তিত্ব ওস্তাদ তরুণ রায়। তার প্রিয় পোষাক টপ জিন্স, প্রিয় রং সাদা, প্রিয় খাবার বেগুনী, প্রিয় ফল আম। নবনীতার পিতা হবিগঞ্জ শহরের মুসলিম কোয়ার্টার এলাকার বাসিন্দা তারাপদ দাশ জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর হবিগঞ্জে কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে কর্মরত। মা নিভা চৌধুরী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। তাদের আদি নিবাস বানিয়াচঙ্গের দিগলবাক গ্রামে। নবনীতা স্বপ্ন দেখে লেখাপড়া শেষ করে ভবিষ্যতে পাইলট হবে। মুক্ত বিহঙ্গের মতো সে ডানা মেলে আকাশে উড়বে। তার এ স্বপ্ন সফল হোক দৈনিক হবিগঞ্জের মুখ পরিবারের পক্ষ থেকে এ শুভ কামনাই রইল।