নবীগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ নবীগঞ্জে সরকারি আইনের তোয়াক্কা না করে ফসলী জমি খনন করে চলমান শাখা বরাক নদীতে অবৈধ বাঁধ নির্মাণ করে মাটি আনা হচ্ছে। বিশেষ করে অবৈধ যোগ সাজসে ফসলি জমির টপ সয়েল কেটে মাটি আনা হচ্ছে এবং নদীর মধ্যে বাঁধ নির্মাণের ফলে এলাকার পরিবেশ বিপন্ন হচ্ছে। আগামীতে অকাল বন্যার আশঙ্কা রয়েছে।
বিগত একমাস ধরে ট্রাক্টর দিয়ে সরকার বাজার টু গোপলার বাজার আঞ্চলিক সড়ক দিয়ে হাওরের ফসলী জমি থেকে মাটি বিক্রি ও বিভিন্ন ব্রিক ফিল্ডে ফসলি জমির টপ সয়েল কেটে আনা হচ্ছে। নবীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন বলছেন- এ ব্যাপারে অতি দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সরজমিনে পরিদর্শনকালে রাসেল আহমদ নামে একজন জানান, উপজেলার দেবপাড়া ইউনিয়ন, সরকার বাজার ও গোপলার বাজার আঞ্চলিক সড়কের বৈটাখাল গ্রামের নিকটবর্তী শাখা বরাক নদীর উপর মাটির বাঁধ নির্মাণ করে স্থানীর হাওর থেকে অবৈধভাবে একশ্রেণির অসাধু মাটি ব্যবসায়ী ফসলি জমির মাটি খনন করে বিক্রি করছেন। এতে ফসলি জমির ক্ষতি সহ নদীতে বাঁধের ফলে বর্ষা মৌসুমে বন্যার পানি আটকে ব্যাপক প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হবে বলে জানান তিনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক কৃষক বলেন, এলাকার কিছু নেতা নামধারী লোককে টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে এসব অবৈধ ফায়দা হাসিল করছেন অসাধু মাটি ব্যবসায়ীরা।
হবিগঞ্জ পরিবেশ আন্দোলন বাপার সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল সোহেল বলেন, কোন প্রবাহবান নদীতে বাঁধ দিয়ে প্রতিবদ্ধকতা সৃষ্টি পরিবেশ আইনের বিরোধী। এখানে সরাসরি পরিবেশ বিপন্ন হচ্ছে। এটি পরিবেশ ও নদী শাসন আইনের বিরুদ্ধে কাজ করছে। প্রশাসন এ ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নিবে এ প্রত্যাশা করেন তিনি।
এ বিষয়ে নবীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহীন দেলোয়ার বলেন, বিষয়টি আমি জেনেছি এবং দেখতেছি। তিনি বলেন- নদীতে বাঁধ নির্মাণ করে মাটি আনার বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিষয়টি সরজমিনে তদন্ত করতে স্থানীয় ভূমি অফিসের তশিলদারকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছেন বলেও জানান তিনি।
নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুপ কুমার দাশ অনুপ) বলেন, ফসলি জমি খনন ও নদীতে বাঁধ নির্মাণ অবৈধ কাজ। দ্রুত অভিযান চালিয়ে এর সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।
© স্বত্ব দৈনিক হবিগঞ্জের মুখ ২০১৯
ওয়েবসাইটটি তৈরী করেছে ThemesBazar.Com