নিতেশ দেব, লাখাই থেকে ॥ লাখাই উপজেলার ৭২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৯টি বিদ্যালয়ের ভবন ঝুঁিকপূর্ণ। দীর্ঘদিনেও এসব ভবন সংস্কার কিংবা মেরামত হয়নি। ফলে ৩ হাজারেরও বেশী শিক্ষার্থী ঝুঁকি নিয়ে এসব স্কুলে লেখাপড়া করছে। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের তালিকা উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষ বরাবরে পাঠানো হয়েছে। শিক্ষা কর্মকর্তা তদন্তের ভিত্তিতে ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যালয়ের তালিকা তৈরি করেছেন। তালিকা অনুযায়ী এ উপজেলায় ৯টি বিদ্যালয়ের ভবন ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। যেসব স্কুলের ভবন ঝুঁকিপূর্ণ সে স্কুলগুলো হলো- লোকনাথ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় যার নির্মাণ সাল ১৯৮৭ ইং শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১০৫, সুবিদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মাণ সাল ২০০৬ ইং শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২২৩, ভাদিকারা আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মাণ সাল ১৯৭৯ ইং শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৭৩৬, হেলাকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যলায় নির্মাণ সাল ১৯৯৩ ইং শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১১৩, ভরপুর্ণি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মাণ সাল ১৯৯১ ইং শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৫১৪, পূর্ব ভাদিকারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মাণ সাল ১৯৯২ ইং শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২৫৯, বলাকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মাণ সাল ১৯৯২ ইং শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৩১, দক্ষিণ করাব পীতবসন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মাণ সাল ১৯৯৪ ইং শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২০৪, করাব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মাণ সাল ১৯৬৮ ইং শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩৫২। এর মধ্যে সুবিদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তবে কর্তৃপক্ষ বলছে বিকল্প কোন ব্যবস্থা না থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়েই এখানে পাঠদান চলছে। এ বিদ্যালয়ের পিলারে ফাটল দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি আস্তর খসে পড়ে রড বেরিয়ে আসছে। এছাড়াও অন্যান্য বিদ্যালয় ভবনও ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। আর এতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকরা রয়েছেন উৎকন্ঠায়।
সুবিদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য বলেন- জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিদ্যালয়ে পাঠদান করতে হচ্ছে। যে কোন সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে জানান তিনি। সুবিদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ম্যানিজিং কমিটির সভাপতি আবুল বাসার চৌধুরী বলেন- আতঙ্কের মধ্য দিয়ে কোমলমতি শিশুরা ক্লাস করছে। দ্রুত মেরামতের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানান তিনি। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মজনুর রহমান বলেন- উপজেলার ৯টি বিদ্যালয়কে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে তালিকা করে কর্তৃপক্ষ বরাবর পাঠানো হয়েছে। মাঝে মধ্যে ভবনগুলোকে সংস্কার করা গেলেও ঠিকানো যাচ্ছে না। তবে বিকল্প কোন ব্যাবস্থা না থাকায় ঝুঁকি নিয়েই পাঠদান চলছে বলে জানান তিনি।