এসএম সুরুজ আলী ॥ হবিগঞ্জ শহরের মাহমুদাবাদ এলাকায় শিরিন আক্তার সোনিয়ার প্রতিষ্ঠিত মায়ের মমতা অবৈতনিক বিদ্যালয়ে দুটি ফ্যান প্রদান করেছেন হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক মাহমুদুল কবীর মুরাদ। শনিবার বিকেলে ওই স্কুলে গিয়ে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ২টি ফ্যান প্রদান করেন তিনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন এনডিসি তাছলিমা শিরিন মুক্তা, বিশিষ্ট কবি ও সাহিত্যিক তাহমিনা বেগম গিনি, হবিগঞ্জ টিভি জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি প্রদীপ দাশ সাগর, হবিগঞ্জ সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি শাকিল চৌধুরী, স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা শিরিন আক্তার সোনিয়াসহ স্কুলের অন্যান্য শিক্ষক ও শিক্ষার্থীগণ।
এ ব্যাপারে শিরিন আক্তার সোনিয়া জানান, গত ৩০ জুলাই দৈনিক হবিগঞ্জের মুখ পত্রিকায় আমার স্কুলটি নিয়ে গুরুত্বসহ সংবাদ প্রকাশ করায় প্রশাসনসহ সব মহলের নজরে আসে। এ জন্য তিনি হবিগঞ্জের মুখ পত্রিকা কর্তৃপক্ষের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য, দৈনিক হবিগঞ্জ মুখ পত্রিকায় ৩০ জুলাই ‘টিউশনি করে নিজের কষ্টার্জিত টাকা দিয়ে দরিদ্র ছেলেমেয়েদের মধ্যে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিচ্ছেন বিশ^বিদ্যালয় ছাত্রী সোনিয়া’ শিরোনামে বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনটি প্রকাশ হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে যায়। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, বাসায় বাসায় গিয়ে টিউশনি করে নিজের কষ্টে উপার্জিত টাকা দিয়ে দরিদ্র পরিবারের ছেলেমেয়েদের মধ্যে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিচ্ছেন হবিগঞ্জ শহরের শিরিন আক্তার সোনিয়া নামের এক তরুণী। টিউশনি থেকে উপার্জিত টাকায় শহরের মাহমুদাবাদ এলাকায় সোনিয়া ছোট টিনের ছাপটা ঘরে প্রতিষ্ঠিত করেছেন মায়ের মমতা অবৈতনিক বিদ্যালয় ও তার নিজের মা জহুরা খাতুনের নামে পাঠাগার। স্কুলে নিজের অর্থ দিয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য বসার ব্রেঞ্চ ও পাঠাগারের বই ক্রয় করেছেন সোনিয়া। সোনিয়ার এমন উদ্যোগ অনেকেই মহতি উদ্যোগ বলে স্বীকৃতি দিলেও অর্থাভাবে স্কুলের পরিবেশের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি করতে ও মানসম্মত শিক্ষা, শিক্ষকদের সম্মানীও দিতে পারছেন না সোনিয়া। এ অবস্থায় তার গড়া স্কুলটি প্রতিষ্ঠিত করতে সরকার ও সমাজের বিত্তশালীদের সহযোগিতা চেয়েছেন সোনিয়া। সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর জেলা প্রশাসক মাহমুদুল কবীর মুরাদ স্কুলটি পরিদর্শনে যান। পরিদর্শনকালে তিনি স্কুলে ২টি ফ্যান দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী জেলা প্রশাসক রবিবার স্কুলে গিয়ে ২টি ফ্যান প্রদান করেন।