চুনারুঘাট প্রতিনিধি ॥ বাগানের জমি দখল করে দোকানঘর তৈরিকে কেন্দ্র করে হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের চন্ডিছড়া চা বাগানের শ্রমিকদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। বহিরাগত এক শ্রমিক চা বাগানের জমি দখল করে ঘর তৈরি করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাগানের এক শ্রমিককে পিটিয়ে আহত করেছে দখলকারীরা। এর জের ধরে বিক্ষুব্ধ শত শত চা শ্রমিক শুক্রবার সকালে বাগানের কাজে যোগদান না করে বহিরাগত এ যবুকের দোকানঘর ও বসতঘর ভেঙ্গে দিয়েছে। খবর পেয়ে চুনারুঘাট থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। এ নিয়ে বাগানে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
স্থানীয়রা জানান, চন্ডিছড়া চা বাগানের মাজারের পূর্বদিকে চা বাগানের জমিতে বহিরাগত শ্রমিক দীপক দাস ভৈরব একটি দোকান ঘর তৈরি করে ব্যবসা করছে। সম্প্রতি সে তার ঘরের পেছনে চা বাগানের গাছ কেটে বাগানের নিয়মনীতি না মেনে পাকা ঘর তৈরি করে। এ নিয়ে শ্রমিকদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে বাগান ব্যবস্থাপক তাকে দোকানের বাড়তি অংশ ভেঙ্গে ফেলার নির্দেশ দিলেও সে না মেনে বাগানের কিছু শ্রমিককে নিয়ে একটি গ্রুপ তৈরি করে গত কয়েকদিন ধরে মহড়া দেয়। গত বৃহস্পতিবার রাতে বাগানের মধ্যটিলা এলাকার রুহিত নায়েক নামে শ্রমিক ভৈরবের ঘরে গেলে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে ভৈরব ও তার সহযোগী সঞ্জয় রুহিতকে পিটিয়ে মারাত্মক আহত করে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাগানে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে বাগানের পাগলা ঘন্টা বাজানোর পর রাতেই শত শত চা শ্রমিক মাজার এলাকায় তার দোকানঘর ভাংচুর করে। শুক্রবার সকালে বাগানের শত শত চা শ্রমিক এ ঘটনার বিচার দাবি করে এবং কাজে যোগদান না করে বাগান থেকে ভৈরবকে বিতারণের জন্য আন্দোলন করে। এক পর্যায়ে তারা বাগানে ভৈরবের বসতঘর ও মাজার এলাকার দোকানঘর ভাংচুর করে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান চুনারুঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ নাজমুল হক, ওসি তদন্ত আলী আশরাফসহ একদল পুলিশ। বিক্ষুব্ধ চা শ্রমিকদের তারা শান্ত করার চেষ্টা করেন। পরে ঘটনাস্থলে যান ইউপি চেয়ারম্যান শামছুন্নাহার চৌধুরী। পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হলেও উত্তেজনা বিরাজ করছে।