স্টাফ রিপোর্টার ॥ উন্নত জীবন-যাপনের জন্য জীবনের শেষ সম্বল ভিটে বিক্রি করে দালালের মাধ্যমে কাতার গিয়েছিলেন চানপুর গ্রামের আশিক মিয়া। কিন্তু তার উন্নত জীবনের স্বপ্ন পূরণ হওযা দূরে থাক কাতারে তার মালিকের নির্যাতনে মরতে-মরতে বেঁেচ ফিরে এসেছে দেশে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে গত বৃহস্পতিবার রাতে হবিগঞ্জ সদর হাসাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার লোকড়া ইউনিয়নের চানপুর গ্রামের মৃত নায়েব আলীর পুত্র।
গুরুতর অসুস্থ আশিক জানায়, তারই প্রতিবেশী হামদু মিয়ার পুত্র সালামিন আহমেদ তাকে বলে ৩ লাখ টাকা দিলে সে ড্রাইভিং ভিসা দিয়ে কাতার নিবে এবং সেখানে ৪০ হাজার টাকা বেতন পাবে। তার এই লোভনীয় প্রস্তাবে আশিক রাজি হয়ে পৈত্রিক ভিটা বিক্রি করে সালামিনকে ৩ লাখ টাকা দেয়। সালামিন দালালের মাধ্যমে ভূয়া ভিসায় তার বিদেশ যাবার আয়োজন করে। গত ৫ জুন সালামিন ও আশিক তার গ্রামের বাড়ি থেকে কাতারের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। কিন্তু কর্মস্থলে পৌঁছে দেখে অবস্থা ভিন্ন। তাকে গাড়ি চালানোর কাজ না দিয়ে মরুভূমিতে দুম্বা পালনের চাকরি দেয় এবং ডিউটি ১৫ ঘন্টা। অতিকষ্টে ১৫ দিন ডিউটি করার পর সে অসুস্থ হয়ে পড়লে এক পর্যায়ে এর প্রতিবাদ করলে দালাল সালামিন ও তার কফিল তার উপর শারীরিক নির্যাতন চালায়। তাকে মানসিক রোগী বানাতে তার শরীরে বিষাক্ত ইনজেকশন পূশ করতে থাকে। তার অবস্থা আরও অবনতি হলে তাকে গত ৩০ জুলাই দেশে পাঠিয়ে দেয় দালাল চক্র।