স্টাফ রিপোর্টার ॥ বানিয়াচং বিএসডি মহিলা আলীম মাদ্রাসার ১ম বর্ষের ছাত্রী লিপি বেগমকে কুপিয়ে জখম করা মামলার ৩ নাম্বার আসামি জিয়াউর খাঁকে (৪০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বানিয়াচং থানা পুলিশ সাগরদীঘির দক্ষিণ পাড়ে তার নিজ ঘর থেকে তাকে গ্রেফতার করে। জিয়াউর খাঁ ওই মহল্লার নিয়ামত খাঁর ছেলে। অভিযানের সময় মামলার অন্য আসামিরা পালিয়ে যায়। জিয়াউর বানিয়াচং থানায় শিশু ধর্ষণ মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি। তার বিরুদ্ধে অন্য আরেকটি মামলায়ও ওয়ারেন্ট রয়েছে। সে দীর্ঘদিন ধরে এলাকার নিরীহ মানুষকে নানাভাবে হয়রানি করে আসছে। তাকে গ্রেফতারের ঘটনায় এলাকায় স্বস্তি নেমে এসেছে।
উল্লেখ্য, গত বুধবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে মাদ্রাসা ছাত্রী লিপি বেগমকে কুপিয়ে জখম করে একই এলাকার মৃত অমৃত খাঁর পুত্র নূর খাঁ। আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে বানিয়াচং স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান তার স্বজনরা। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সদর হাসপাতালে নেওয়ার পর অবস্থার আরো অবনতি হলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক আহত লিপিকে মুমূর্ষু অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। বর্তমানে ওসমানী মেডিকেলে মহিলা সার্জারি ওয়ার্ডে তার চিকিৎসা চলছে।
এ ঘটনায় গুঞ্জুর আলীর স্ত্রী (লিপির মা) দোলেনা বেগম ঘটনার পরপরই ১২ জনের নাম উল্লেখ করে বানিয়াচং থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার আইও এসআই ফারুক জানিয়েছেন বাকী আসামিদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে। মাদ্রাসা ছাত্রী লিপি বেগমকে প্রাণনাশের চেষ্টার প্রতিবাদে এবং আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে আজ দুপুর ১টায় মাদ্রাসার সামনে মানববন্ধন পালন করবে বিএসডি মহিলা আলীম মাদ্রাসার সর্বস্তরের শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী।