নিহত শিশুর মায়ের অভিযোগ সৎ মা সহ পরিবারের সদস্যরা তাকে হত্যা করেছে
জামাল মোঃ আবু নাছের ॥ মাধবপুর উপজেলার নয়াপাড়া ইউনিয়নের নারায়ণপুর গ্রামের বায়েজিদ মিয়া নামে ৪ বছরের এক শিশুর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। সে ওই গ্রামের টমটম চালক জুনায়েদ মিয়ার ছেলে। মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। নিহত শিশুটির মায়ের অভিযোগ শিশুটির সৎ মা সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা মিলে তাকে হত্যা করেছে। এ ব্যপারে তিনি একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
এলাকবাসী সূত্রে জানা যায়, নারায়ণপুর গ্রামের আবু বক্করের ছেলে জুনায়েদ মিয়া প্রায় ৫ বছর পূর্বে বিয়ে করেন উপজেলার বহরা ইউনিয়নের শ্রীধরপুর গ্রামের আব্দুর রহিমের মেয়ে নিলুপা আক্তারকে। বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে তাদের কোল জুড়ে আসে শিশুসন্তান বায়েজিদ মিয়া। বায়েজিদের বয়স দুই বছর পূর্ণ হলে নিলুপা আক্তারের সাথে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করেন জুনায়েদ। এর এক মাস পরে জুনায়েদ বিয়ে করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের বিজস্বরপুর গ্রামের মোহাম্মদ খানের মেয়ে পান্না খানমকে। গত দুই বছর ধরে বায়েজিদ তার বাবার বাড়িতে সৎ মায়ের সাথেই বসবাস করছিল।
মঙ্গলবার সকাল ৭টায় তার সৎ মা পান্না খানম চিৎকার করে বলেন বায়েজিদ মারা গেছে। এ সময় প্রতিবেশিরা এসে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর তড়িগড়ি করে লাশ দাফনের ব্যবস্থা করে জুনায়েদের পরিবার।
দুপুরে প্রতিবেশির মাধ্যমে খবর পেয়ে জুনায়েদের বাড়িতে ছুটে যান বায়েজিদের মা নিলুপা আক্তার। পরে নিলুপা আক্তার থানায় খবর দিলে মাধবপুর থানার উপ-পরিদর্শক লিটন দাশ বায়েজিদের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেন।
বায়েজিদের সৎ মা পান্না খানম এ প্রতিনিধিকে বলেন, সোমবার রাতে বায়েজিদ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়। সকালে তার বাবা ঘুম থেকে উঠে তাকে নাস্তা খেয়ে ঘুম পারিয়ে চলে যান। কিছুক্ষণ পরে দেখি তার শরীর ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে। পরে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলে ডাক্তার বলেন সে মারা গেছে।
বায়েজিদের মা নিলুপা আক্তার অভিযোগ করে বলেন, জুনায়েদ তাকেও কয়েকবার হত্যার চেষ্টা করেন। আজ বায়েজিদকে তারা গলা টিপে হত্যা করেছেন। নিহত বায়েজিদের মূখে অসংখ্য দাগ রয়েছে।