জুয়েল চৌধুরী ॥ সারা দেশের ন্যায় হবিগঞ্জ জেলার বিভিন্ন বাজারে বিক্রি হওয়া প্রাণ, মিল্কভিটা ও আড়ংসহ পাস্তুরিত ৭টি দুধ-ই মানহীন। এগুলোর কোনোটিতে মিলেছে মাত্রাতিরিক্ত কলিফর্মে উপস্থিতি, আবার কোনোটিতে মিলেছে এন্টিবায়োটিক। এমন ভয়াবহ চিত্র উঠে এসেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের নমুনা পরীক্ষায়। মঙ্গলবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান গ্রন্থাগারে খাদ্যের গুণগত মান পরীক্ষার ফলাফল বিশ্লেষণ ও প্রতিবেদন প্রকাশ করে ফার্মেসি বিভাগ। এতে বলা হয়, প্রাণ, মিল্কভিটা, আড়ংসহ পাস্তুরিত দুধের ৭টি নমুনার কোনোটিতেই কাক্সিক্ষত মাত্রার ‘সলিড নট ফ্যাট’ পাওয়া যায়নি। এই ৭টি নমুনায় ছিল মিল্ক ভিটা, আড়ং, প্রাণ।
পরীক্ষকরা আরও জানান, ফ্রুট ড্রিংকসের ১১টি নমুনার সবগুলোতে নিষিদ্ধ ক্ষতিকর সাইক্লামেট পেয়েছেন তারা। এগুলো হলো, স্টার শিপ ম্যাংগো ফ্রুট ড্রিংকস, সেজান ম্যাংগো ড্রিংক, প্রাণ ফ্রুটো, অরেনজি, প্রাণ জুনিয়র ম্যাংগো ফ্রুট ড্রিংক, রিটল ফ্রুটিকা, সান ড্রপ, চাবা রেড এপল, সানভাইটাল নেক্টার ডি ম্যাংগো, লোটে সুইটেন্ডএপল, ট্রপিকানা টুইস্টার।
এছাড়া আড়ং, বাঘাবাড়ি, প্রাণ, মিল্ক ভিটা, মিল্কম্যান, সুমির ও টিনে বিক্রি হওয়া ঘি মানোত্তীর্ণ হতে ব্যর্থ হয়েছে। রূপচাঁদা, পুষ্টি, সুরেশ, ড্যানিশ ও বসুধা সরিষা তেলসহ বাজারে বিক্রি হওয়া বিভিন্ন ভোজ্যতেলেও মানহীনতার চিত্র উঠে আসে প্রতিবেদনে।
হবিগঞ্জ শহরের অনেক ক্রেতারা অভিযোগ করেন আড়ং ও প্রাণসহ মিল্কভিটার তরল দুধ উৎপাদনের দিন থেকে ৭ দিন মেয়াদ থাকে। কিন্তু এর ভিতরে দুধ নিয়ে রান্না করলেও দুধ নষ্ট হয়ে যায়। আবার কোন কোন ব্যবসায়ীরা মেয়াদোত্তীর্ণ দুধও বিক্রি করেন। অনেক ক্রেতা দুধের গায়ে মেয়াদ না দেখেই নিয়ে যান। আবার এসব দুধ খেয়ে শিশুসহ সব বয়সের লোকই ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগ বালাইয়ে আক্রান্ত হচ্ছেন।