হবিগঞ্জ পৌরসভার সদ্য সমাপ্ত উপনির্বাচনে আমি সম্মিলিত নাগরিক সমাজের মনোনিত মেয়র পদপ্রার্থী ছিলাম। উক্ত নির্বাচনে হবিগঞ্জের সর্বস্তরের জনসাধারণ, বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতাকর্মীরা আমাকে অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছেন। আমি আর্থিকভাবে স্বচ্ছল কোনও ব্যক্তি নই। আমি আমার কর্মীদের ঠিকমতো আপ্যায়নও করাতে পারিনি। বহুক্ষেত্রে নির্বাচনী খরচ যোগাতে আমার হিমশিম খেতে হয়েছে। তারপরও আমার এলাকাবাসী, ৫টি পাড়ার ছাত্র-যুবকেরা বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা পৌর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, খোয়াই থিয়েটার, শাপলা সংসদসহ বিভিন্ন স্তরের মানুষ নিজের পকেটের টাকা খরচ করে আমার নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন। মানুষের বাড়িতে বাড়িতে ঘুরে নারিকেল গাছ প্রতীকের পক্ষে ভোট চেয়েছেন। অনেক পাড়ায় বয়স্ক পুরুষ-মহিলারা আমাকে তাদের আন্তরিক ভালবাসায় সিক্ত করেছেন। অনেকে প্রাণভরে দোয়া ও আশির্বাদ দিয়েছেন। আমি যতটা আশা করিনি, তার চেয়েও অধিক ভালবাসা দেখিয়েছেন হবিগঞ্জ শহরের হিন্দু-মুসলিম ও দলমত নির্বিশেষে সর্বস্তরের মানুষ। এই ভালবাসার প্রতিদান দেওয়া আমার পক্ষে এক জীবনে সম্ভব নয়। তাই আমি আমার অন্তরের অন্তস্থল থেকে শহরের সর্বস্তরের মানুষ, আমার দলীয় নেতাকর্মী ও বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং পেশাজীবী সংগঠনের সকলকে কৃতজ্ঞতা জানাই। আমি এবারকার নির্বাচনে হয়তো বিজয়ী হতে পারিনি। আমি মনে করি জনগণের পাশে থাকার জন্য নির্বাচনে বিজয়ী হওয়াটাই বড় কথা নয়। জনগণের ভালবাসায় আমার মনে হয়েছে- বিজয়ী না হতে পারলেও মানুষের জন্য অনেক কিছু করা সম্ভব। তাই আবারো যারা আমার পক্ষে কাজ করেছেন এবং করেননি সকলের প্রতি রইল সমান কৃতজ্ঞতা ও ভালাবাসা।
কৃতজ্ঞতাসহ
অ্যাডভোকেট নিলাদ্রী শেখর পুরকায়স্থ টিটু
সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে মেয়র পদপ্রার্থী
সম্মিলিত নাগরিক সমাজ, হবিগঞ্জ।
© স্বত্ব দৈনিক হবিগঞ্জের মুখ ২০১৯
ওয়েবসাইটটি তৈরী করেছে ThemesBazar.Com