ছবিতে বয়স কমানো বা বাড়ানোর জনপ্রিয় অ্যাপ ‘ফেসঅ্যাপ’ নিয়ে তদন্ত করার ডাক দিয়েছেন মার্কিন সিনেটর চাক শুমার। টুইটারে এক খোলা চিঠিতে ফেসঅ্যাপকে ‘প্রচন্ড দুশ্চিন্তার কারণ’ বলে মন্তব্য করেন এই সিনেটর। এই অ্যাপের মাধ্যমে মার্কিন নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্য ‘বিপজ্জনক বিদেশি শক্তিদের’ হাতে পড়ার আশঙ্কা করেন শুমার। কিছুদিন ধরে রাশিয়াভিত্তিক একটি অ্যাপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের তৈরি ফেসঅ্যাপের ব্যবহার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে ওঠার পর থেকেই ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অবশ্য ফেসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ বরাবরই এমন অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। ‘ফেসঅ্যাপ’-এর বিরুদ্ধে অভিযোগ, স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর ছবি নিজেদের সার্ভারে আপলোড (সংরক্ষণ) করে রাখছে অ্যাপ কর্তৃপক্ষ। তবে ওয়্যারলেস ল্যাব নামে অ্যাপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি দাবি করছে, ব্যবহারকারীর ছবি স্থায়ীভাবে রেখে দেওয়া হচ্ছে না কিংবা ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে না। ওয়্যারলেস ল্যাবের এক বিবৃতির বরাত দিয়ে প্রযুক্তির সংবাদবিষয়ক ওয়েবসাইট টেকক্রাঞ্চে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘ওয়্যারলেস ল্যাবের গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগের কার্যালয় রাশিয়ায় হলেও ব্যবহারকারীদের তথ্য রাশিয়াতে যাচ্ছে না।’
টুইটারে পোস্ট করা চিঠিতে মার্কিন সিনেটর চাক শুমার যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা (এফবিআই) ও ফেডারেল ট্রেড কমিশনকে ফেসঅ্যাপ নিয়ে তদন্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন। এরই মধ্যে ২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনের পদপ্রার্থীদের ফেসঅ্যাপ না ব্যবহার করার বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছে মার্কিন ডেমোক্রেটিক দলের জাতীয় কমিটি। সারা বিশ্বের আট কোটি মানুষ ফেসঅ্যাপ ব্যবহার করেন বলে জানিয়েছে ওয়্যারলেস ল্যাব কর্তৃপক্ষ। এর আগে ২০১৭ সালে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে অ্যাপের একটি ফিচার বাদ দিতে বাধ্য হয় ফেসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ। ইন্টারনেট