মোঃ টিপু মিয়া ॥ জীবনযুদ্ধে পরাজিত বাক-প্রতিবন্ধী যুবতী চায়না আক্তার মারা গেছে বিনা চিকিৎসায়। হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে তার মৃত্যু ঘটে।
স্বজনরা জানান, প্রায় ১ মাস আগে চায়না আক্তার (২০) শায়েস্তাগঞ্জ এলাকায় অসাবধানতাবশত চলন্ত ট্রেনের নিচে আটকা পড়ে তার হাতের দুটি কবজি কেটে যায়। বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে শায়েস্তাগঞ্জ তার বাসায় ফিরে। সম্প্রতি সে আবার অসুস্থ হলে চায়নাকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভর্তির পর থেকেই চায়নাকে হাসপাতালের মেঝেতে ফেলে রাখেন নার্স ও আয়া। ঔষুধ তো দূরের কথা এমনকি ন্যুনতম খাবারও তাকে দেয়া হয়নি। অন্য রোগীদের পরিত্যক্ত খাবার খেয়ে ক্ষুধা নিবারণ করে চায়না। বিনা চিকিৎসায় ও অনাহারে ১০ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে চায়না আক্তার মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। তার পরিবারের লোকজন না থাকায় এড়ালিয়া গ্রামের তার খালাত ভাই সাত্তার মিয়া তার দেখাশুনা করেন এবং সাধ্যমত চিকিৎসা করেন। কিন্তু জীবনের শেষ মুহূর্তে চিকিৎসা করে আর তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। চায়না বি-বাড়িয়া সদর উপজেলার পাইকুড়া গ্রামের দিনমজুর সিরাজ মিয়ার কন্যা। সে ছোটবেলা থেকেই শায়েস্তাগঞ্জে ভিক্ষাবৃত্তি করে জীবিকা নির্বাহ করছিল।